মানুষের রোজগার নিয়ে সংসদে তৃণমূলের প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দিল না মোদী সরকার
প্রশ্ন এক। অথচ উত্তর এল ভিন্ন। সংসদে সোজাসুজি প্রশ্নের জবাবই দিতে পারল না মোদী সরকার। মঙ্গলবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনই ছবি দেখা গেল। প্রশ্ন করা হল, গ্রামের মানুষের রোজগার কী করে বাড়বে? মানুষকে গরিবি রেখার বাইরে আনতে সরকারের পরিকল্পনা কী? জবাবে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিরজ্ঞন জ্যোতি শোনালেন বিজলি, পানি, সড়কের গল্প। যা শুনে মোটেই সন্তুষ্ট হলেন না তৃণমূলের সদস্যরা।
সভার মধ্যেই বিরোধীরা আওয়াজ তুললেন, স্পষ্ট জবাব কোথায়? আমরা তো জানতে চাইছি গ্রামের মানুষের রোজগার কী করে বাড়বে? পাল্টা সওয়ালে মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, আমি তো সার্বিক উন্নয়নের কথা বলছি। বিজলি, সড়ক, পানি। সঙ্গে শৌচালয়। গ্রামের মহিলারা অনেক ভালো ভালো জিনিস তৈরি করেন। তাই এমপিদের কাছে অনুরোধ, সেইসব জিনিস কিনুন। গ্রামে রোজগার বাড়বে।
প্রশ্ন করেন হাওড়ার গ্রামীণ এলাকা উলুবেড়িয়ার তৃণমূল এমপি সাজদা আহমেদও। জানতে চান, গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য ঘোচাতে সরকার কী করছে? জবাবে মন্ত্রী নিরজ্ঞন জ্যোতি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা, জল জীবন মিশন, দীন দয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত, উজ্জ্বলা যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ফিরিস্তি শুনিয়ে দেন। বলেন, ১০০ দিনের কাজের বাজেট বাড়ানো হয়েছে। বাড়ি তৈরি হচ্ছে। গ্রামে আলো জ্বলছে। স্বপ্নেও কেউ কোনওদিন এ জিনিস ভেবেছিল!
রাজ্যসভাতেও সরকারকে চেপে ধরল তৃণমূল। দলের এমপি নাদিমুল হক জিরো আওয়ারে বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষ নাজেহাল। কোভিড পর্বে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ মধ্যবিত্ত গরিব হয়েছে। সরকার তাদের জন্য কী করছে? রাজ্যের পাওনা নিয়ে লিখিত প্রশ্নে সরব হন জহর সরকারও। প্রশ্ন ছিল, কর বাবদ কেন্দ্র যা আয় করেছে, তার মধ্যে থেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্য রাজ্যগুলি কত টাকা পাবে? জবাবে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ ৩০ হাজার ৩০০ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা পাবে। এর মধ্যে সিজিএসটি বাবদ পেয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৪০০ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ শতাংশের হারে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩৩ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানে ক্ষুব্ধ হয় তৃণমূল।