মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর, চব্বিশের আগে কি ‘ধামাকা’ আসন্ন?
তাঁকে ভারতীয় রাজনীতির ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ তকমা দেওয়া হয়। তাঁর কোনও লোকসভা কেন্দ্র নেই। নেই ভোটব্যাঙ্কও। কিন্তু বিগত ৩০ বছর ধরে তাঁর সম্পর্কে চর্চা অনেক। কখনও তিনি সরকার পতনের কারিগর, আবার কখনও গড়ার হোতা। তিনি বিজেপির বিদ্রোহী এমপি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। লাগাতার তিনি মোদী সরকারকে বিরোধীদের থেকেও আক্রমণাত্মক চড়া সুরে কোণঠাসা করে চলেছেন। কখনও চীনের অনুপ্রবেশ নিয়ে, কখনও অর্থনীতি নিয়ে। মঙ্গলবার সকালে তিনি টুইট করেছেন তাতে ঘনীভূত হচ্ছে আরও রহস্য। প্রশ্ন উঠেছে, আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বড় কোনও ধামাকা দেওয়ার জন্য কি তৈরি হচ্ছেন স্বামী?
সোমবার বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কেউই অর্থনীতির বিন্দুবিসর্গও বোঝেন না। আর তার ২৪ ঘণ্টা পরেই দিলেন রহস্যময় বার্তা। বললেন, একের পর এক সরকারের পতন ঘটানোর জন্য যেমন আমাকে দায়ী করা হয়, তেমনই অন্তত তিনবার সরকার গড়াও হয়েছে আমার কারণে। এটা প্রচারে বলা হয়ে থাকে। এবার প্রশ্ন হল, পরবর্তী পর্বে কী হবে? সরকার গড়ার কারিগর? নাকি পতনের কারিগর? সেখানেই রহস্য জিইয়ে রেখেছেন স্বামী, পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন। তাহলে কি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কোনও বড়সড় বিস্ফোরক পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তিনি? জল্পনা কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি সবসময়ই ‘মিস্টার আনপ্রেডিক্টেবল’ বলেই পরিচিত।
প্রসঙ্গত ভি পি সিং সরকারের পতনে পর চন্দ্রশেখরের সরকারে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়েছিলেন স্বামী। ছিলেন নরসিমা রাও সরকারের মিত্রপক্ষও। অটলবিহারী বাজপেয়ি সরকারের পতনের জন্য দায়ী ছিলেন জয়ললিতা। কিন্তু তার কয়েকদিন আগে জয়ললিতা ও সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে অশোকা হোটেলের বৈঠকে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছিল স্বামীকে। এরপর ইউপিএ সরকারের দুর্নীতিকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়ার প্রধান কারিগরও ছিলেন তিনি। কালো টাকার ইস্যু পর্যন্ত তাঁরই তোলা। সেই দুর্নীতির ইস্যুতে ভর করেই ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর সরকারে আসীন হওয়া। ২০২৪ সালের লড়াই আসন্ন। সেই সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আবারও কী চমক দেন, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।