উন্নয়ন বজায় রাখতে অর্থ কমিশনের টাকা পেল রাজ্যের সব জেলা পরিষদ
উন্নয়নমূলক কাজের ধারা বজায় রাখতে অর্থ কমিশনের টাকা পেল রাজ্যের জেলা পরিষদগুলি। দু’ধাপে টাকা দেওয়া হবে। প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রথম কিস্তিতে সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্থ কমিশনের টাকা পাওয়ার জন্য প্রতিটি জেলা পরিষদকে আগে বাজেট পাঠাতে হয়েছিল। কোন খাতে কীভাবে কাজ হবে, তার বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে হয়েছিল। তথ্য খতিয়ে দেখার পরই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থ কমিশন টায়েড বা পরিকল্পনা খাতে এবং আনটায়েড বা পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে টাকা দেয়। একটি খাতের টাকায় রাস্তা সংস্কার, পানীয় জলের জন্য পাইপ লাইন বসানো, পথবাতি সহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়। অন্য খাতের টাকা স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ হয়।
প্রথম কিস্তিতে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ ১৩ কোটি ১৯ লক্ষ ২০ হাজার ৯২৩ টাকা পেয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ ১৪ কোটি ৬০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬৬৮ টাকা পেয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ ১০ কোটি ৩০ লক্ষ ১৮ হাজার ৬১৯ টাকা পেয়েছে। তুলনামূলকভাবে কম টাকা পেয়েছে ছোট জেলাগুলি। এক আধিকারিক বলেন, অর্থ কমিশন থেকে পাওয়া টাকার কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য একাধিক নিয়ম চালু করা হয়েছে। কাজের খুঁটিনাটি পোর্টালে আপলোড করা হবে। ঠিকাদাররাও অনলাইনে টাকা পাবেন। রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করার আগে ছবি তুলে পোর্টালে আপলোড করতে হবে। কাজ চলার ছবিও দিতে হবে সেখানে। আবার কাজ শেষের ছবিও আপলোড করতে হবে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া সাত কোটি ৭৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৯৭ টাকা, বীরভূম সাত কোটি ৯ লক্ষ ৮১ হাজার ৬৪৮টাকা, হুগলি ৮ কোটি ২২ লক্ষ ৩ হাজার ২৫৪ টাকা পেয়েছে। মালদহ জেলা পরিষদ পেয়েছে ৭ কোটি ৭২ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৭৭ টাকা। দ্বিতীয় ধাপের টাকাও কয়েক মাসের মধ্যেই পাঠানো হবে। আর এক আধিকারিক বলেন, গত আর্থিক বর্ষে কয়েকটি জেলা পরিষদ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করতে গড়িমসি করেছিল। সেই কারণে এবার প্রতিটি জেলা পরিষদকে সময়ে টাকা খরচের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজের পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি করে রাখতে বলা হয়েছিল। সেইমতো জেলা পরিষদগুলি কাজ করেছে। তাই টাকা খরচ করতে এবার সমস্যা হবে না।
পুরুলিয়া, দার্জিলিং, ঝাড়গ্রাম ছোট জেলা। এই জেলা পরিষদগুলিতে কম পরিমাণ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পুরুলিয়া ৬ কোটি ৩৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৯৫৯, পূর্ব মেদিনীপুর ৯ কোটি ৭১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩৩৮, পূর্ব বর্ধমান ৯ কোটি ১০ লক্ষ ১২ হাজার ৪৮২, পশ্চিম মেদিনীপুর ৮ কোটি ৯৫ লক্ষ ১০ হাজার ১৮৬ টাকা পেয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ পেয়েছে ২ কোটি ৬১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৮২ টাকা। হাওড়া জেলা পরিষদের অ্যাকাউন্টে ৬ কোটি ৪৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫৩৩ টাকা পাঠানো হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজীব হোসেন বলেন, কাজের রূপরেখা আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়েছে। আমরা সব মিলিয়ে অর্থ কমিশনের কাছে থেকে ৬০ কোটি টাকা পাব। অনেক আগেই বাজেট পাঠানো হয়েছিল।