১৪৪টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবে ভোটদানের আরজি অভিষেকের
কলকাতা পুরভোটেও সেই মমতার উপরেই আস্থা তৃণমূলের। কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবে ভোটদানের আরজি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতায় মহামিছিল করেন তিনি। মিছিল শেষে কালীঘাটে দাঁড়িয়ে এই বার্তা দেন তিনি।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দক্ষিণ, উত্তর একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে। এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে যেখানে সামনে তাকালে মায়ের মন্দির, পিছনে বাংলার অগ্নিকন্যার বাড়ি। এর থেকে পূণ্যভূমি আর নেই। ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমাররা প্রার্থী না। প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে হবে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভারতের কাছে কলকাতাকে সেরা প্রমাণ করার নির্বাচন। কানে শুনে না, চোখে দেখে ভোট দিন।” পুরভোটে জয়ের বিষয়ে বরাবরই অভিষেকের গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর। ১৪৪-এর মধ্যে ১৩৫টি ওয়ার্ডে ঘাসফুলই জয়ের হাসি হাসবে বলেই দাবি তাঁর। এছাড়া অভিষেকের আরও দাবি, “গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হয় তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, নয় প্রধান প্রতিপক্ষ হবে। মাঝখানে আর কিছু নেই।”
দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আরও একবার বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “বহিরাগতরা বলেছিল বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না। নিজেদের হিন্দু ধর্মের ধারক, বাহক বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই পুজোর প্রসারে ৫০ হাজার টাকা করে ক্লাবগুলিকে সাহায্য করতে চেয়েছেন, এরা হাই কোর্টে গিয়েছিল। ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ায় তাদের বাড়া ভাতে ছাই।”
রাজনৈতিক লড়াইয়ে সামিল হতে না পেরে অনৈতিকভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার চাপ তৈরি করার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “আমায় অনেক চাপ দিয়েছে যাতে মাথা নামিয়ে নিই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য সৈনিক। গলা কেটে দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরোবে।” এদিন মহামিছিল থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। তাঁর হুঁশিয়ারি, “মোদিবাবু রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন। চ্যালেঞ্জ করছি। তথ্য পরিসংখ্যান সামনে রেখে লড়াই হোক। ১০-০ গোল দিয়ে মাঠের বাইরে বার করব।” বিরোধীদের আক্রমণের মাঝেও ভোটারদের কাছে তাঁর একটাই আরজি, “কলকাতার উন্নয়নের স্বার্থে কষ্ট করে হলেও ভোট দিন তৃণমূলকেই।”