কলকাতা পুরসভার ভোটের প্রচারে কেন এলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা? জল্পনা কি নিয়ে?
আগামীকাল কলকাতা পুরসভার ভোটগ্ৰহন। এবার তারকা প্রচারকদের তালিকা প্রকাশ করেছিল বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। বিজেপি চেয়েছিল রাজ্যের সবকটি পুরসভায় একসঙ্গে ভোট হোক। যদিও বিজেপির সেই দাবি খাটেনি, তাই বলে পুরভোটে কোনও খামতি রাখবে না গেরুয়া শিবির, এরকমই ভাবা হচ্ছিল।
একুশের বিধানসভায় পদ্ম শিবিরে তারকা প্রচারকদের রমরমা দেখা গিয়েছে। রাজ্য জুড়ে একের পর এক সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। উপনির্বাচনেও দিল্লি থেকে এসেছিলেন নেতা-মন্ত্রীরা। কলকাতা পুরভোটের জন্য ২০ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি। সেই তালিকায় রয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, গিরিরাজ সিং, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার। দীর্ঘ তালিকায় রামকৃপাল যাদব, দেবশ্রী চৌধুরী, এস এস আলুওয়ালিয়া, দীনেশ ত্রিবেদী, মনোজ তিওয়ারি, অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। শুধু বাদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য এই নিয়ে কিছু বলেননি। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, শমীক ভট্টাচার্য, রাহুল সিনহা, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, মাফুজা খাতুনও জায়গা পেয়েছিলেন। বাদ শুধু রূপা।
কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ১০ আসনে জেতার টার্গেট ঠিক করে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু বঙ্গবিজেপির অন্দরেই বলাবলি হচ্ছে, কলকাতায় বিজেপির সংগঠন এতটাই তলানিতে ঠেকেছে যে পাঁচটি আসনেও নাকি জেতাও সম্ভব নয়। জানা যাচ্ছে, এমনই একটি রিপোর্ট নাকি বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছে আরএসএস।
শোনা যাচ্ছে, রিপোর্ট পাবার পরই নাকি কলকাতা পুরভোটের জন্য বিজেপির স্টার ক্যাম্পেইনার তালিকায় নাম থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতারা কেউ কলকাতায় আসেননি পুর ভোটের প্রচারে।
এমনকি শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ অত্যন্ত হতাশাজনক বলে দাবি করা হয়েছে এই রিপোর্টে। তার জন্যই কলকাতা পুরভোটের প্রচার যখন তুঙ্গে এবং সে সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় দাপিয়ে প্রচার করে চলেছেন, সেই সময় হাল ছেড়ে দেওয়া মানসিকতার পরিচয় দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর পরিকল্পনায় বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব হুগলির সিঙ্গুরে আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে গেছে? এই প্রশ্ন উঠেছে দলেরই ভিতরে।