শুধু সরকারি পরিষেবাই নয়, এবার দুয়ারে সরকার থেকে মিলবে চাকরির দিশা
শুধু বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই নয়, এবার বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরির দিশা দেবে ‘দুয়ারে সরকার’। এই উদ্যোগ নিয়েছে কারিগরি শিক্ষাদপ্তর। যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন ধরনের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির থেকেই এই উদ্যোগের ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে ডিরেক্টরেট অব ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং। কারিগরি শিক্ষাদপ্তরের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে মাসে ১০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তাঁরা। পরে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
কারিগরি শিক্ষাদপ্তর ‘আমার কর্মদিশা’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। এটির লক্ষ্য হল, যুবক-যুবতীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির উপযোগী করে তোলা। ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে দপ্তরের কর্মীরা এই অ্যাপের সাহায্যেই কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আলোকপাত করবেন। বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ইনস্ট্রাক্টররা ওই শিবিরে কাউন্সেলারের ভূমিকায় থাকবেন। এর জন্য তাঁদেরও আলাদা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলা ও ব্লকস্তরে কাউন্সেলারদের তালিকা তৈরি হয়েছে। নাম রয়েছে ২ হাজার ৮৫৫ জনের। প্রতিটি জেলার দায়িত্বে থাকছেন একজন প্রজেক্ট ম্যানেজার।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে এই উদ্যোগে অংশীদার হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেবে তারাই। আর যাঁরা প্রশিক্ষণের জন্য নাম নথিভুক্ত করবেন, তাঁদের কোনও টাকা জমা করতে হবে না। বরং সংশ্লিষ্ট সংস্থাই ভাতা হিসেবে কিছু টাকা দেবে তাঁদের। সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ হলে কাজের নিশ্চয়তা থাকছে। খুচরো বিক্রিবাটা, ফ্রন্ট অফিসের কাজ, শেফ, তথ্য-প্রযুক্তি, বিদ্যুতের কাজ সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দপ্তর সূত্রে বলা হচ্ছে, ছেলেমেয়েরা যোগ্যতা ও ইচ্ছা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের বিষয় বেছে নেবেন। সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যের এই উদ্যোগ সত্যিই অভিনব। কারিগরি শিক্ষাদপ্তরের দাবি, ভাবনা-চিন্তা ছিল আগেই। করোনা পরিস্থিতির জন্য কর্মসূচি শুরুতে কিছুটা দেরি হয়েছে। আগামী দিনে এই উদ্যোগ আরও গতি পাবে এবং আরও অনেক বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদী দপ্তর।