ফোনে আড়ি পাতছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার, অভিযোগ বিরোধীদের
ব্যক্তিগত সচিব ও ঘনিষ্ঠ নেতাদের বাড়িতে আয়কর হানা দিয়েছে। অবাক হননি সমাজবাদী পার্টি (সপা) সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। উল্টে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে শানিয়েছেন সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের নয়া অভিযোগ—‘আড়ি পাতা হচ্ছে দলের সব নেতার ফোনে। প্রতিদিন বিকেলে সেই রেকর্ডিং শোনেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।’ সেই প্রসঙ্গে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া ‘উপযোগী’ সার্টিফিকেটকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘অনুপযোগী’ সরকারের থেকে ভালো কিছু আশা করি না। বিজেপি শুধু হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি চালাতে পারে। সপা প্রধানের সুরে রবিবার বিরোধীদের ফোন ট্যাপ করার অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। রায়বেরিলিতে মহিলাদের নিয়ে ‘শক্তি সংবাদ’ র্যালি থেকে এই ইস্যুতে তিনি নিশানা করেন যোগী সরকার। সোনিয়া-কন্যা বলেন, ‘সরকারের কাজ কী? উন্নয়ন, জনগণের সমস্যা বুঝে তার সমাধা, নিপীড়ন বন্ধ করা। পরিবর্তে এই সরকার কী করছে— বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতছে।’
সপা নেতাদের বাড়িতে আয়কর হানার ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। অখিলেশ অবশ্য এই ইস্যুতে এদিনও সরব ছিলেন। মুলায়ম-পুত্রের দাবি, আয়কর হানার অর্থ নির্বাচনের আগে বিজেপি হেরে বসে রয়েছে। সেই কারণেই দলীয় কার্যালয় এবং নেতা-কর্মীদের ফোন ট্যাপিং করা হচ্ছে। যোগী সরকারের দিকে আঙুল তোলার পাশাপাশি তিনি সতর্ক করেছেন সাংবাদিকদের। তাঁর কথায়, ‘যদি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, সেক্ষেত্রে আপনিও নজরদারিতে রয়েছেন।’ ইউপিএ আমলে কংগ্রেসও ভোটের আগে বিরোধীদের দিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে লেলিয়ে দিত বলে অভিযোগ অখিলেশের।
অন্যদিকে, এদিন মথুরা সহ রাজ্যের ছ’টি জায়গা থেকে ‘জন বিকাশ যাত্রা’র সূচনা করে বিজেপি। মথুরার সভায় হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই আয়কর হানা ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘গতকালের আয়কর হানায় সমাজবাদী পার্টি নেতৃত্ব আঘাত পেয়েছে। এক সাংবাদিককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেন? তাঁর জবাব ছিল, অপরাধবোধে ভোগা বিবেকের কোনও দোষারোপকারীর প্রয়োজন হয় না। কেউ কখনও ভেবে দেখেছে, পাঁচ বছরে একজনের সম্পত্তি কী করে ২০০ গুণ বাড়তে পারে?’ এমনকী সপা জমানায় মাফিয়াদের রমরমার প্রসঙ্গ টেনে অখিলেশের দলকে আক্রমণ করেছেন যোগী।