মমতার পাড়ায় ভ্রাতৃবধূ কাজরীর জয়ে উচ্ছসিত কর্মীরা
গণনায় তখন সবে কয়েক রাউন্ডের ট্রেন্ড আসতে শুরু করেছে। সেই সময়েই তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের জন্য এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হোর্ডিং, ফ্লেক্স ও ব্যানারে ছয়লাপ হয় ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। এই কেন্দ্রের প্রার্থী আর কেউ নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিকের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার কিছু পরেই কালীঘাটে জয়ের গন্ধ আসতেই উল্লাস শুরু হয়ে গিয়েছেতৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।
জয়ের প্রথম ফ্লেক্সটি লাগানো হয়েছেমুক্তদল মোড়ে। বিশাল সেই হোর্ডিঙে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেওয়া হল কাজরীর ছবি। পাশাপাশি দেওয়া হল কাকা-ভাইপো, অভিষেক ও কার্তিকের ছবিও। তবে তা মমতা ও কাজরীর মুখচ্ছবির তুলনায় বেশ ছোট।
ওই হোর্ডিংগুলিতে লেখা হয়েছে, ‘এই পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী, দিদির আর্শীবাদ ধন্যা কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পৌর প্রতিনিধি নির্বাচিত করার জন্য ৭৩ নম্বর ব্লকের সব অধিবাসীবৃন্দকে জানাই প্রণাম, শুভেচ্ছ এবং অসংখ্য ধন্যবাদ।’
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে সাংগঠনিক রদবদলে তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি করা হয়েছিল কার্তিককে। মঙ্গলবার যে সমস্ত হোর্ডিং, ব্যানার ও ফ্লেক্সগুলি ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডজুড়ে লাগানো হয়েছে, তা সবই জয়হিন্দ বাহিনীর সৌজন্যে।
কালীঘাট এলাকার এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, কাজরী যে জিতবেন তা জানাই ছিল। তাই আগে থেকেই সব প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল। তাই প্রথম রাউন্ডে কাজরী এগিয়ে যেতেইজয়ের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে।