শুভেন্দুর দল ছাড়ার বর্ষপূর্তিতে ‘উৎসব’ তৃণমূলের
রবিবারই ছিল শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ত্যাগের বর্ষপূর্তি। সেই উপলক্ষে সোমবার কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়ির কাছেই উচ্ছ্বাস দিবস ও সংহতি পদযাত্রা পালন করে তৃণমূল। দল থেকে শুভেন্দু চলে যাওয়ার জন্য এদিন উচ্ছ্বাসে মাতেন তৃণমূল কর্মীরা। করানো হয় মিষ্টিমুখ-ও। পালটা এই অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, বাড়ির সামনে মাইক বাজিয়ে নাকি শান্তি বিঘ্নিত করেছে তৃণমূল। পালটা টুইট করে শুভেন্দুর এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সোমবার শুভেন্দু—কুণালের এই টুইট—যুদ্ধ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
বাড়ির সামনে তৃণমূলের এই অনুষ্ঠানের ভিডিও—সহ টুইট করে শুভেন্দু লেখেন, “গতকাল পুলিশ দিয়েও আটকাতে পারিনি। কোনও অনুমতি ছাড়াই আমার বাড়ির সামনে লাউড স্পিকারে গান বাজায়। তৃণমূলের এই অপসংস্কৃতি নজরে রাখুন বাংলার মানুষ।” শুভেন্দুর এই টুইট নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে পালটা কুণাল ঘোষের টুইট, “শুভেন্দু মিথ্যা বলছে। কাঁথিতে ওর বাড়ির সঙ্গে কেউ অন্যায় আচরণ করেনি। রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়েছে। ও যখন রাজনৈতিক জন্মদাত্রীকে কুকথা বলে, তখন? ২০১৩ সালে আমি গ্রেপ্তার হওয়ার পর আমার ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের সামনে বাড়ির কাছে মাইক বাঁধার সময় মনে ছিল না, শুভেন্দু?”
এই প্রসঙ্গেই আবার আরেকটি টুইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “আমি ব্যস্ততার জন্য বাড়িতে থাকতে পারি না। কিন্তু আমার ৮৩ বছরের বাবা শিশির অধিকারী এবং ৭৪ বছরের অসুস্থ মা এই উপদ্রবের লক্ষ্য।” টুইটের ভিডিওটি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি অ্যাকাউন্ট এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সরকারি টুইটার হ্যান্ডলের সঙ্গে ট্যাগ করেছেন তিনি।
বিরোধী দলনেতার এই টুইটেরও জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। আরেকটি টুইটে কুণাল লিখেছেন, “শুভেন্দু, তোমার কালকের নাটকের সঙ্গে আজকের কর্মসূচির সম্পর্ক নেই। এটা আগেই ঘোষিত। কাঁথির প্রচার সবাই দেখেছেন। তুমি অন্যদের কুকথা বলে বেড়াবে, আর এখন নাটক করবে, এসব চলবে না। সময় ফিরে আসে। আজ তুমি কাঁথি ছেড়ে পালিয়েছ।”