ভারতে ২০০ পার করল ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে উদ্বেগ
একলাফে ২০০ পার করল দেশে Omicron আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে একাধিক রাজ্যের মোট ২১৩ জন মানুষের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ফের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল। একদিনে ১৮ শতাংশ বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩১৭ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩১৮ জনের এবং সুস্থ হয়েছে উঠেছেন ৬৯০৬ জন।
রাজ্য | আক্রান্ত | সুস্থ | |
১) | দিল্লি | ৫৭ | ১৭ |
২) | মহারাষ্ট্র | ৫৪ | ২৮ |
৩) | তেলঙ্গানা | ২৪ | ০ |
৪) | কর্নাটক | ১৯ | ১৫ |
৫) | রাজস্থান | ১৮ | ১৮ |
৬) | কেরালা | ১৫ | ০ |
৭) | গুজরাট | ১৪ | ৪ |
৮) | জম্মু ও কাশ্মীর | ৩ | ৩ |
৯) | ওডিশা | ২ | ০ |
১০) | উত্তরপ্রদেশ | ২ | ২ |
১১) | অন্ধ্রপ্রদেশ | ১ | ১ |
১২) | চণ্ডীগড় | ১ | ০ |
১৩) | লাদাখ | ১ | ১ |
১৪) | তামিলনাড়ু | ১ | ০ |
১৫) | পশ্চিমবঙ্গ | ১ | ১ |
মুম্বইকে ছাপিয়ে গেল দিল্লি
দেশে Omicron আক্রান্তের পরিসংখ্যানে মুম্বইকে ছাপিয়ে গেল দিল্লি। এই মুহূর্তে দেশে মোট ২১৩ জন Omicron Variant-এ আক্রান্ত। তার মধ্যে সর্বাধিক দিল্লিতে। মুম্বইকে ছাপিয়ে দিল্লিতে Omicron আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫৭। মহারাষ্ট্রে এই সংখ্যা বর্তমানে ৫৪। তবে মোট আক্রান্তের মধ্যে ৯০ জনের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই নেগেটিভ এসেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই ওমিক্রন মুক্ত। সকলেই ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন হাসপাতাল থেকে।
অ্যাক্টিভ কেস নিম্নমুখী
দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যায় রেকর্ড পতন। এই মুহূর্তে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ১৯০। যা গত ৫৭৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের এই নয়া প্রজাতির সংক্রমণের তীব্রতা অতিরিক্ত এবং যেখানে গোষ্ঠী সংক্রমণ হবে সেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাহক ‘ডেল্টা’-র থেকেও ‘ওমিক্রন’ ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই সতর্কবার্তা যে নিছক ছিল না, তা সাম্প্রতিক ওমিক্রন-সংক্রমিতের সংখ্যার রিপোর্টেই স্পষ্ট হচ্ছে। যে সমস্ত দেশের নাগরিকদের মধ্যে উচ্চ মাত্রার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে উঠেছে, সেই সমস্ত দেশেও দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ‘ওমিক্রন’। যদিও এর কারণ করোনা ভাইরাসের এই নয়া ভ্যারিয়ান্টের অনাক্রমতা, অধিক সংক্রমণ প্রবণতা অথবা দুটির একত্রীকরণ কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্বজুড়ে সংক্রমিতের গ্রাফ যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন ‘WHO’-র কার্যকর্তারা।