রাস্তা বানানোর হট-মিক্স প্লান্ট থেকে দূষণ রোধে আসছে নয়া গাইডলাইন
রাস্তা বানাতে হট-মিক্স প্লান্টের উপযোগিতা শেষ হতে চলেছে। এমন প্লান্ট থেকে হওয়া প্রভূত দূষণ ঠেকাতে সুভাষ দত্তের মামলার জেরে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চকে জানাল, খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে তারা নয়া গাইডলাইন আনছে। এর খসড়া পরিবেশ, বন ও আবহাওয়া দপ্তরের বিবেচনাধীন। অন্যদিকে রাজ্য জানাল, ওই ব্যবস্থার পরিবর্তে তারা দুই-তিনটি বিকল্প পদ্ধতিতে কাজ শুরু করেছে। যা সফল হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক আঞ্চলিক অধিকর্তা ট্রাইব্যুনালকে হট-মিক্স প্লান্টের জন্য নয়া গাইডলাইনের সংবাদ পেশ করেন। ৩১ মার্চের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল চূড়ান্ত গাইডলাইন পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালকে জানান, মাইক্রো সারফেসিং টেকনোলজি অনুসরণে হাওড়ায় ১৮.৯৩ কিলোমিটার রাস্তা বানানোর কাজ শেষ হয়েছে। এই পদ্ধতিতে চলতি ব্যবস্থায় তৈরি রাস্তার উপর বিশেষ পদার্থের এক স্তর ফেলা হয়। যা পাতলা কিন্তু যথেষ্ট ক্ষমতাশালী। বিশেষ ধরনের ইমালসন বা ঘন ও তরল রাসায়নিকের সঙ্গে মিহি পাথরের মিশ্রণ এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এতে খরচও কম।
আরও জানানো হয় যে, ডায়মন্ডহারবার রোডকে চওড়া ও মজবুত করতেও একই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছিল। সে কাজ শেষ হয়েছে। বলা হয়, হোয়াইট টপিং ও মাইক্রো সারফেসিং টেকনোলজির পাশাপাশি কলকাতার জন্য মেকানাইজড ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে। এজন্য দরকার হয় এক ধরনের অ্যাসফল্টিক মিক্সের। তার জন্য লাগে ব্যাচ মিক্স প্লান্ট। যা শহর থেকে দূরে বসানো হবে। সঙ্গে রাখা
থাকবে আধুনিক বিল্ট-ইন পলিউশন কন্ট্রোল ডিভাইস। ওই প্লান্টে বানানো ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট মিক্স ঢাকা দেওয়া বিশেষ থার্মো কন্টেনারে কলকাতায় আনা হবে। এজন্য যে টেন্ডার ছাড়া হবে,
তাতে বলেই দেওয়া হবে যে, এমন প্লান্ট বসানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমোদন নিতে হবে। জানানো হয়, এমন প্লান্ট বসানোর জন্য আকন্দকেশরী পোস্ট অফিস এলাকায় তৈরি হওয়া টেকনো সিটি বা পূর্বের হাতিশালাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।