বঙ্গ বিজেপিতে রদবদল, যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে সরানো হল সৌমিত্র খাঁ-কে
পুরভোটে ভরাডুবির পরই নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণা করল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। ব্যাপক রদবদল হল গেরুয়া শিবিরের রাজ্য কমিটিতে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তরুণ মুখেদেরও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। প্রাধান্য পেয়েছেন বিধায়ক-সাংসদেরা। তবে উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে এবার রাজ্য বিজেপির কোনও পদে থাকছেন না সায়ন্তন বসু।
কমিটি রদলবদলের পরই রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পদ খোয়ালেন সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। বদলে সেই পদের দায়িত্ব পেলেন ইন্দ্রনীল খাঁ। এদিকে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি পদে এলেন সৌমিত্র খাঁ।
এদিকে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন পাঁচজন। সাধারন সম্পাদক হয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিধায়ক দীপক বর্মন এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন এলেন দুই বিধায়ক ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়েছেন সায়ন্তন বসু, সঞ্জয় সিংয়ের মতো নেতারা।
সহ-সভাপতি হয়েছেন মোট ১১ জন। তালিকায় রয়েছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার, সাংসদ অর্জুন সি-রা। সাধারণ সম্পাদকের বদলে সঞ্জয় সিং হয়েছেন সহ-সভাপতি। রীতেশ তিওয়ারি আগে ছিলেন সহ-সভাপতি পদে। এবার তিনি সেই পদ থেকে বাদ পড়েছেন। নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়েছে বিশ্বপ্রিয় চৌধুরী, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়েরা-ও। জয়প্রকাশ মজুমদারকে করা হয়েছে দলীয় মুখপাত্র। কংগ্রেস থেকে আসা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় হয়েছেন দলীয় মুখপাত্র।
এদিকে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল। তিনি দলের সাধারন সম্পাদক হওয়ায় বর্তমানে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পদে এলেন তনুজা চক্রবর্তী। তফসিলি মোর্চার সভাপতি বিধায়ক জোয়েল মুর্মু। সবমিলিয়ে ৩১-৩২ জনকে নিয়ে নতুন রাজ্য কমিটি গড়েছে বঙ্গ বিজেপি। তাতে মহিলারাও উল্লেখ্যযোগ্য জায়গা পেয়েছেন। সহ-সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক স্তরেও ব্যাপত রদবদল হতে পারে। এসেছে বেশ কিছু নতুন মুখও।