ওমিক্রন উদ্বেগের মাঝেই দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার
দাপট বাড়ছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের (Omicron)। আগের একাধিক ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে অন্তত কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক শক্তিসম্পন্ন ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর হার, সংক্রমণও ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৯৫। এর মধ্যে স্রেফ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টেই আক্রান্ত ২৩৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৩৪ জনের, যা বেশ উদ্বেগজনক। বুধবার সংক্রমণ, মৃত্যুর সংখ্যা এর তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। একদিনে দেশে কোভিডের প্রকোপ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন দেশের ৬৯৬০ জন।
এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ২৯১। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতে সুস্থ হয়েছেন মোট ৩,৪২,০৮,৯২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪,৭৮,৭৫৯ জনের। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। যার জেরে নতুন করে চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সূত্রের খবর, দেশের ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ফের জরুরি বৈঠকে বসতে পারেন। বুধবারও তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী-সহ সচিবদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তবে আজ তাঁর বৈঠকের পর নতুন কোনও নির্দেশিকা জারি হতে পারে কেন্দ্রের তরফে।
মূলত দিল্লি ও মুম্বইয়ে বেশি দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন। এছাড়া সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গেও থাবা বসিয়েছে করোনার নতুন স্ট্রেনটি। সেই কারণে ক্রিসমাস ও ইংরাজি নববর্ষের উদযাপনে কড়া কোভিডবিধি লাগু হতে পারে ফের। সেক্ষেত্রে জমায়েত নিষিদ্ধ, সর্বদা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক-সহ একাধিক কঠোর বিধি মানতে হতে পারে আমজনতাকে।
এদিকে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জোরকদমে চলছে টিকাকরণের (Corona vaccination) কাজ। এখনও পর্যন্ত দেশে ১৩৯ কোটি ৬৯ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭৭৪ জনের টিকাকরণ শেষ। বাকিদের টিকা দেওয়ার কাজও দ্রুতই সম্পন্ন করতে মরিয়া কেন্দ্র। এরই মাঝে টিকাকরণে নয়া রেকর্ড গড়েছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু (Bengaluru)। বেঙ্গালুরু আরবানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখানে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে প্যারিসের এক গবেষণাপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাধারণ অ্যান্টিবডি প্রয়োগে ওমিক্রনকে কাবু করা মুশকিল। সবমিলিয়ে, বছরশেষে কিন্তু মাথাব্যথা রয়েই যাচ্ছে ওমিক্রন নিয়ে।