আট ম্যাচ পরেও জয়য়ের দেখা নেই, ফের ড্র ইস্টবেঙ্গলের
আট ম্যাচ। জয়য়ের দেখা নাই। একটা করে ম্যাচ যাচ্ছে, আর সমর্থকদের অপেক্ষা আর আক্ষেপ দুটোই বেড়ে চলেছে। আইএসএলে আরও একটা ম্যাচে জয় অধরা এসসি ইস্টবেঙ্গলের। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধেও এগিয়ে থেকে আবার একটা ড্র করলেন চিমা চুকুরা। বছরটা শেষ। নতুন বছরে আবার মাঠে নামবে লাল-হলুদ। বদল হবে? মাঝের কটা দিনে দলে যে অনেক কিছু বদলাতে পারে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
তিনটি বদল করে দল মাঠে নামান ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) কোচ দিয়াজ। চোট কাটিয়ে গোলে ফেরেন অরিন্দম। পেরোসেভিচের জায়গায় দেরভিসেভিচ। পোর্চের জায়গায়া জনিয়ার। ফর্মেশন ৪-১-৪-১। বলের দখল রাখার ছক। কিন্তু তা দিয়ে কি এডু গার্সিয়া, ওগবেচেদার বেশিক্ষণ আটকে রাখা যায়? ম্যাচের প্রথম সাত আট মিনিট বল দখলের লড়াইটা সমানে সমানে থাকল। কিন্তু তারপর থেকেই লাল-হলুদ ব্রিগেডকে তাদেরই অর্ধে নামিয়ে দিল হায়দরাবাদ (Hyderabad FC)। কিন্তু ১৯ বস্কের বাইরে মিনিটে ফ্রি-কিক এনে দিলেন হানতে। ২০ মিনিটে ফ্রি-কিকি থেকে লিড নিল দিয়াজের দল। গোল দেরভিসেভিচের (Amir Dervisevic)।
বলের দখল রেখে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরির খেলা থেকে যদিও সরে আসেনি হায়দরাবাদ। তাই ইস্টবেঙ্গলকে ভরসা রাখতে হচ্ছিল কাউন্টার অ্যাটাকের ওপর। এমনই একটা প্রতি আক্রমণ থেকে সুযোগ তৈরি করলেন চিমা চুকু। কিন্তু ২-০ করতে ব্যর্থ তিনি। খেলার বয়স তখন ২৮ মিনিট। ম্যাচে সমতা ফেরাতে বেশি সময় লাগল না হায়দরাবাদের। ৩৫ মিনিটে হেডে ১-১ কের দিলেন ওগবেচে (Ogbeche)। লাল-হলুদ ডিফেন্স আবার দর্শকের ভূমিকায়। ৪০ মিনিটে বস্কের বাইরে থেকে রফিকের শট ক্রসবারে লেগে ফেরে। প্রথমার্ধে স্কোর ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও দাপট নিজামের শহরের দলের। বারবার পরীক্ষার মুখে অরিন্দম। দাঁত ফোটাতেও পারছিল না লাল-হলুদের মাঝমাঠ। ৬৪ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করে ৪-৪-২ ছকে চলে গেলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ দিয়াজ। চিমা ও অমরজিতের বদলে মাঠে এলেন বলবন্ত ও হাওকিপ। তাতেও ইস্টবেঙ্গলের খেলায় বদল কিছু ধরা পরল না। বল দখলের লড়াইয়ে কোনও মতেই দাঁড়াতে পারলেন না রফিকরা। ৭৫ মিনিটে আরও দুটি পরিবর্তন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেন এমন ফুটবলার কই? বছরের শেষ ম্যাচটাতেও তাই সমর্থকদের শুধুই হতাশা উপহার দিতে পারলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। লিগ টেবিলে সবার নীচে থেকেই বছর শেষ। আট ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ৪