শয্যাশায়ী বৃদ্ধের বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করল প্রশাসন
বয়স ৭৫ ছাড়িয়েছে। চলাফেরার ক্ষমতা নেই। তার উপর কিডনির রোগে ভুগছেন। ফলে শয্যাশায়ী অবস্থা। সেকারণে বৃদ্ধের বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দিল প্রশাসন। ফলে ডায়ালিসিস ও অন্যান্য চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তামুক্ত হল শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়ার বাসিন্দা কুমারেশচন্দ্র ঘোষের পরিবার। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রাও। শান্তিপুরের বিডিও প্রণয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই বৃদ্ধের পক্ষে দপ্তরে এসে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করানো সম্ভব ছিল না। সেকারণে তাঁর বাড়িতে গিয়েই কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিষেবা থেকে কেউ যাতে বঞ্চিত না থাকেন সেইমতো আমরা কাজ করছি।
জানা গিয়েছে, নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের স্টেশন রোডের বাসিন্দা কুমারেশবাবুর বাড়িতে গত বুধবার সন্ধ্যায় হাজির হন দপ্তরের কর্মীরা। বিছানায় শোয়া অবস্থায় তাঁর ছবি তুলে কার্ডের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। বৃদ্ধের ছেলে অমিতোষ ঘোষ বলেন, গোরুর খাবার বিক্রি করে সংসার চালাই। পরিবারে স্ত্রী, মেয়ে, বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন। বাবা প্রতিবন্ধী। সেভাবে হাঁটাচলা করতে পারেন না। তার মধ্যে কিডনি সহ অন্যান্য সমস্যায় ভুগছেন। এরই মধ্যে কিছুদিন আগে বাবা পড়ে গিয়ে কোমরে চোট পান। কয়েক মাস আগে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রেখে বাবার চিকিৎসা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকায় হাসপাতালের বিল মেটাতে মোটা টাকা খরচ হয়েছে। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড খুবই প্রয়োজন ছিল। সেইমতো আমরা আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বাড়িতে বসেই ওই কার্ড মিলেছে।
জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দীপক বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এটা আবার প্রমাণিত। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে জেলায় ১৪লক্ষের বেশি মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই কার্ড ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই জেলায় প্রায় ১৬৮কোটি টাকার চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন রোগীরা।