দেশ বিভাগে ফিরে যান

পোশাকে এক লাফে ৭ শতাংশ জিএসটি বৃদ্ধি করছে মোদী সরকার

December 24, 2021 | 2 min read

এবার পোশাকে এক লাফে সাত শতাংশ জিএসটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ জানুয়ারি থেকেই লাগু হচ্ছে নতুন কর কাঠামো। এর ফলে কাপড়ের দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে। এতে নতুন বছরে বিপাকে পড়তে চলেছেন ক্রেতারাও। কারণ কেনাকাটায় খসাতে হবে বাড়তি টাকা। তাই বড়দিন থেকে নিউ ইয়ারের উৎসবের মরশুমে দামবৃদ্ধি হলে ক্রেতারা মুখ ফেরাতে পারেন, সেই আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রানিগঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ২০০ পোস্টকার্ড প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশজুড়ে এনিয়ে প্রতিবাদে সরব কাপড় ব্যবসায়ীদের সংগঠন। ৩০ ডিসেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাড়তি করের বোঝা না প্রত্যাহার হলে কৃষকদের ধাঁ঩চেই আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

মানুষের অতিপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর অন্যতম হল পোশাক। ধনী থেকে দরিদ্র, পোশাকের প্রয়োজন সকলের। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ২০১৭ সাল পর্যন্ত এতে কোনও ট্যাক্স নিত না কেন্দ্র। কিন্তু জিএসটি লাগু হওয়ার পর প্রথমে কাপড়ও ট্যাক্সের আওতায় আসে। প্রাথমিকভাবে ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য হয়। পরবর্তীকালে করোনার জেরে অন্যান্য ব্যবসার মতো কাপড় ব্যবসাও লাটে ওঠে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসতেই ভিড় বাড়ে বাজারে। তারপর পোশাকের দামও হু-হু করে বাড়তে শুরু করে। অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের মতে, ডিজেলের দাম অত্যন্ত বেড়ে যাওয়া এর প্রধান কারণ। এছাড়াও চীন থেকে রঙের সামগ্রী না আসায় বাজারে প্রভাব ফেলে। দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে যখন ক্রেতাদের প্রশ্নে জেরবার ব্যবসায়ীরা, তখনও তাঁদের উপর কুঠারাঘাত নেমে আসে। জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কাপড়ের উপর জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করা হবে। ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকেই তা লাগু হবে। নতুন বছরের শুরু থেকেই আরও আকাশছোঁয়া হবে পোশাকের দাম। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীকে প্রতিবাদ চিঠি দিতে শুরু করেছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কেন্দ্র বলছে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল, কেউ বলছে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেই করছে। আমাদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

এবার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে ব্যবসায়ীদের। ইতিমধ্যেই রানিগঞ্জের কাপড় ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। রানিগঞ্জ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মুখ্য উপদেষ্টা সলীল সিংহ বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে ২০০ চিঠি দেওয়া হয়েছে, যাতে এই অতিরিক্ত কর প্রত্যাহার করা হয়। তা না হলে বিক্রি কমে যাবে। পাশাপাশি প্রতিবাদ চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও রানিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স।
অন্যদিকে পূর্ব ভারতের কাপড় ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান চেম্বার অব টেক্সটাইল ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কোটি) পক্ষ থেকেও কড়া প্রতিবাদ চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি অরুণ ভুয়ালকা বলেন, করোনার পর মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়েছে। এরপর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আমাদের ব্যবসায় মন্দা দেখা দেবে। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#textiles

আরো দেখুন