মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সিলমোহর, পড়ুয়াদের পোশাক তৈরির প্রথম বরাত শান্তিপুরে
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সিলমোহর। সরকারিভাবে এই প্রথম স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর পোশাক তৈরির বরাত পাচ্ছেন শান্তিপুরের বেশ কয়েকজন কারিগর। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন তাঁরা।
রাজ্যের টাকা রাজ্যেই থাকবে, এবার থেকে ভিনরাজ্যে যাবে না। গত ৯ ডিসেম্বর নদিয়ার কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার একাধিক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শান্তিপুরের তাঁতশিল্প নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই রাজ্যের সমস্ত উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ছাত্র-ছাত্রীদের ইউনিফর্ম তৈরির বিষয়টি উঠে আসে। তিনি বলেন, এবার থেকে রাজ্যেই তৈরি হবে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ইউনিফর্ম। এরাজ্যের টাকা আর ভিনরাজ্যে যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকের ১৪ দিন যেতে না-যেতেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শান্তিপুরের বেশকিছু তাঁত ব্যবসায়ীকে দিয়ে অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে তৈরি হচ্ছে স্কুল ইউনিফর্মের উন্নত মানের থান। যা দিয়ে পরবর্তীতে তৈরি হবে স্কুল ইউনিফর্ম। যদিও রাজ্যের সমস্ত জেলার মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে এটা প্রথম তৈরি হচ্ছে।
তাঁত ব্যবসায়ীদের দাবি, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তাঁরা যদি আরও বেশি করে বরাত পান, তাহলে আগামী দিনে অনেক কারিগরকেই এই থান তৈরির কাজে যুক্ত করতে পারবেন তাঁরা। তবে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে শান্তিপুরের তাঁতশিল্পীরা কতটা উপকৃত হবেন, এই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ স্কুলের ইউনিফর্ম তৈরির থান অত্যাধুনিক মেশিনে ছাড়া হস্তচালিত তাঁত অথবা যন্ত্রচালিত তাঁতে করা সম্ভব নয়। সেখানেই কপাল পুড়েছে শান্তিপুরের তন্তুবায়দের।