বড়দিনে আগ্রায় সান্তাক্লজের কুশপুতুলে আগুন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের
চার্চ ভাঙচুর, ক্রিস্টান ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল আগেই। বড়দিনের মুখে আগ্রায় সান্তাক্লজের কুশপুতুলে (Santa Claus Burnt) আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ তির রাষ্ট্রীয় বজরং দলের সদস্যদের দিকে। আগ্রার একটি চার্চের সামনে জড়ো হয়ে বজরং দলের বেশ কয়েকজন কর্মী ‘সান্তাক্লজ মুর্দাবাদ’ (Santa Claus Burnt) স্লোগান দেন। তার পর পেট্রোল ঢালা হয় সান্তাক্লজের কুশপুতুলে। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
এমজি রোডের সেন্ট জনস স্কোয়ার চার্চের সামনে সান্তাক্লজের কুশপুতুলে আগুন দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, খ্রিস্টান সমাজ বড়দিনের উৎসবে সান্তাক্লজের আড়ালে ক্রমাগত ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছে, যা বরদাস্ত করা হবে না। রাষ্ট্রীয় বজরং দলের আঞ্চলিক সাধারণ সম্পাদক অজ্জু চৌহান বলেন, ‘ছোট বাচ্চাদের সান্তাক্লজ বানিয়ে খ্রিস্টধর্মের দিকে ঝোঁক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সান্তা কোনও উপহার দিতে আসে না, তার একমাত্র লক্ষ্য হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা।’
তাঁর দাবি, এমনটা আর বরদাস্ত করা হবে না। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, রাষ্ট্রীয় বজরং দল এর তীব্র বিরোধিতা করে। ধর্মান্তরের কোনও প্রচেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। এটা বন্ধ না হলে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু হবে। রাষ্ট্রীয় বজরং দলের বিভাগীয় প্রধান অবতার সিং গিল বলেন, খ্রিস্টান মিশনারি বড় স্কুল চালাচ্ছেন। ছোট ছোট বসতিতে গিয়ে কিছু হিন্দু পরিবারকে প্রলুব্ধ ধর্মান্তরিত চেষ্টা হচ্ছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি দল গঠন করা হবে।
অবতার সিং গিলের কথায়, ‘কীভাবে হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, এই টিম দ্বারা তা পর্যবেক্ষণ করবে। এই প্রবণতা বন্ধ না হলে রাষ্ট্রীয় বজরং দল কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।’ প্রিয়া সিকারওয়ার, জেলা সভাপতি অমিত কুলশ্রেষ্ঠ, বিভাগীয় সমন্বয়কারী সুনীল যাদব, কুলদীপ ভার্মা, জেলা সহ-সভাপতি নীতেশ কুশওয়াহা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক রোহিত রাজপুত, মহানগর সভাপতি গৌরব পাঠক, আরতি রাজপুত, বীরেন্দ্র ঠাকুর, যোগেশ ঠাকুর, মহানগর সভাপতি মো. দুর্গেশ গুপ্ত বিক্ষোভে যোগ দেন।