বিতর্কিত কৃষি আইন ফের আনার ইঙ্গিত কৃষিমন্ত্রীর, চাঞ্চল্য দেশ জুড়ে
ফের কার্যকর করা হতে পারে কৃষি আইন৷ এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর৷ শুক্রবার কৃষিমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জেরে চাঞ্চল্য ছড়াল দেশ জুড়ে৷ কৃষি আইন নিয়ে দেশব্যাপী লক্ষাধিক কৃষকের ক্ষোভের মুখে পড়ে গত মাসে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে কেন্দ্র৷ তবে পরবর্তী কালে পুনরায় কৃষি আইনগুলি কার্যকর হতে পারে বলে তোমর শুক্রবার মহারাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে দাবি করেন। যার জেরে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বিতর্কিত আইন বাতিলের জন্য কিছু মানুষকে দোষারোপ করে মন্ত্রী তোমর বলেন, ‘‘আমরা কৃষি সংশোধনী আইন নিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু মানুষ এই আইনগুলি পছন্দ করেননি। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি বড় সংস্কার ছিল এই তিনটি আইন।’’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, চাপের মুখে সরকার এক ধাপ পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরবর্তী কালে সরকার এই কৃষি আইনগুলি নিয়ে আবার অগ্রসর হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ একই সঙ্গে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের উপরেও জোর দেন তিনি ৷
প্রসঙ্গত, তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে দেশ জুড়ে আন্দোলনে সামিল হয় দেশের বিভিন্ন কৃষকগোষ্ঠী৷ দিল্লির উপকণ্ঠে সিঙ্ঘু সীমানায় আন্দোলনের কারণে কৃষকদের সমালোচনা করেন বিজেপি-র বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রী৷ দফায় দফায় কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয় কেন্দ্রের। কিন্তু সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে চলে এই অচলাবস্থা। অবশেষে পঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের তিন মাস আগে কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তবে এরপরেও থামেননি কৃষকরা৷ শেষে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া এবং কৃষকদের বাকি দাবি-দাওয়া কেন্দ্র মেনে নেওয়ার পর ১১ ডিসেম্বর আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কৃষক সংগঠনগুলি৷ ফাঁকা করে দেওয়া হয় সিঙ্ঘু সীমানা।
এর পর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর ওই মন্তব্য উস্কে দিচ্ছে অনেক জল্পনা৷ বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, তবে কি আসন্ন নির্বাচনে পঞ্জাব দখলের উদ্দেশ্যেই সাময়িকভাবে আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদী সরকার?