মঙ্গল বা বুধেই জারি হবে বিধাননগর-আসানসোল সহ ৪ পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি
রাজ্যের চারটি পুরসভার ভোটের জন্য আগামী মঙ্গল বা বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাওড়া পুরসভা নিয়ে জটিলতা কাটেনি। ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির আগে হবে সর্বদলীয় বৈঠক। পাশাপাশি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিস কমিশনারদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। ২২ জানুয়ারি ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গেই চালু হয়ে যাবে আদর্শ আচরণবিধি এবং মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কাজ। রাজ্য পুরদপ্তর এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার এখনও হাওড়া পুরসভার বিল ছাড়েননি। সোমবারের মধ্যে তিনি তা ছেড়ে দিলে হাওড়া পুরসভার ক্ষেত্রেও অনুরূপ বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কমিশন। তবে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে ডেকে পুরভোট নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যপাল।
কলকাতা হাইকোর্টে জানানোর প্রেক্ষিতে চারটি পুরসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কমিশন। এই চারটি পুরসভার জন্য কমপক্ষে পাঁচ হাজার ইভিএম লাগবে। কমিশনের হাতে ১৫ হাজার ইভিএম রয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় দফার ১০৯টি পুরসভার ভোটের জন্য ১৫ হাজারের বেশি ইভিএম লাগবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের থেকে ইভিএম চাইবেন সৌরভবাবুরা। এই কারণেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন চাইছিল প্রথম দফাতেই আরও কিছু পুরসভার ভোট করিয়ে নিতে। তাতে দ্বিতীয় দফায় ভোটমুখী পুরসভার সংখ্যা কিছুটা কমানো যেত। কমিশনের অফিসাররা চাইছিলেন, দ্বিতীয় দফা ভেঙে আরও এক দফা বাড়ানো হোক। কিন্তু রাজ্য সরকার তা চায়নি। দ্বিতীয় দফার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৩ ফেব্রুয়ারি।
এদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি ও চন্দননগর পুরসভার বুথের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বুথের খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই বুথের তালিকা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল বা কোনও ব্যক্তির যদি আপত্তি থাকে, তাহলে ২ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে। সেই আপত্তি ও পরামর্শের নিষ্পত্তি করে ৫ জানুয়ারির মধ্যেই বুথের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কোভিড বিধি মেনে ভোট করাবে কমিশন। সে কথা মাথায় রেখেই বুথের তালিকা তৈরি করার জন্য পুর নির্বাচনী আধিকারিকদের বলা হয়েছে।