উত্তরবঙ্গে প্রথম পর্যায়ে ৫০টি ইলেকট্রিক বাস নামতে চলেছে রাজ্য সরকার
পরিবহণ মাধ্যম থেকে দূষণ ঠেকাতে এ বার উদ্যোগী হল উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগম (north bengal state transport corporation)। কলকাতার পাশাপাশি এ বার উত্তরবঙ্গের পথেও নামতে চলেছে ইলেকট্রিক বাস (E-Bus)। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা সূত্রে খবর, তারা ৫০টি ইলেকট্রিক বাস প্রথম পর্যায়ে নামাতে চলেছে। তার পর চাহিদা ও পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়বে ইলেকট্রিক বাসের সংখ্যা। এই বাস চালানোর জন্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে চালকদের। যাত্রী সামলানোর জন্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কন্ডাকটরদেরও।
কলকাতায় ইতিমধ্যেই একাধিক রুটে চালানো হচ্ছে ইলেকট্রিক বাস। এ ছাড়া হিডকো নিউটাউনে চালাচ্ছে ইলেকট্রিক বাস। তবে এই বাস চালাতে গিয়ে, পরিকাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন। বিশেষ করে চার্জিং স্টেশন থাকতে হয় নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর। উত্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডিপোতেও সেটা তৈরি করা হচ্ছে। এন বি এস টি সি’র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, “শীঘ্রই উত্তরবঙ্গের পথে নামবে সিএনজি ও ইলেকট্রিক বাস। এর ফলে রাজ্য সরকারের অর্থ সাশ্রয় হবে। দূষণ কমবে। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি ও দূষণ দুটো রুখতেই এ বার ইলেকট্রিক বাস জেলাতেও চলবে।”
বায়ু দুষণ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে পেট্রোল-ডিজেল চালিত বাসের বদলে রাস্তায় আরও বেশি করে চলুক ই-বাস। কেন্দ্রীয় সরকারের ভারী শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক “ফেম” বা “ফাস্টার অ্যাডপশন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অফ ইলেকট্রিক ভেহিকেলস ইন ইন্ডিয়া” প্রকল্পে ই-বাসের জন্য বিশেষ আর্থিক ছাড় দিয়ে থাকে। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার শুধুমাত্র কলকাতার জন্য প্রথম ধাপে ৮০ সরকারি বাস পেয়েছে। যা এই মুহূর্তে অপারেট করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগম। তবে বিশেষ আর্থিক ছাড়ের নিয়মে এ বার বদল হয়েছে। নয়া নিয়মে কোনও পরিবহণ নিগম নয় ই-বাস নির্মাণকারী সংস্থা এই বিশেষ আর্থিক ছাড় পাবে। ই-বাসের ভাড়া দুরত্ব পিছু কত হবে তা ঠিক করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। বায়ু দূষণের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কলকাতা, শিলিগুড়ি, হলদিয়া, দুর্গাপুর, আসানসোলে বেশি করে ইলেকট্রিক বাস চালাতে চায়। এই সমস্ত রুটে ইলেকট্রিক বাসের ভাড়া রাজ্য সরকার চায় বিশেষজ্ঞরাই তৈরি করে দিক।
ইলেকট্রিক বাস চালাতে ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডেকেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। টেন্ডার প্রক্রিয়াতে অংশগ্রহণকারী সংস্থা দুরত্ব পিছু ভাড়া কত হবে তা দাখিল করেছে। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর না করে রাজ্য চাইছে বিশেষজ্ঞ সংস্থা দিয়ে তা যাচাই করতে। তার পরেই বেসরকারি সংস্থাকে বাস চালাতে দেওয়া হবে। ইলেকট্রিক বাস নিয়ে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত জানানো হবে আগামী বছরের শুরুতেই।