সেঞ্চুরিয়ানে কেএল রাহুলের সেঞ্চুরির দৌলতে ভারতের প্রথমদিনের স্কোর ২৭২ রান
প্রথমবার কাঁধে উঠেছে টেস্টে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব। তা সত্ত্বেও ঠান্ডা মাথায় সেঞ্চুরিয়নের বাইশ গজে দুর্দান্ত একটা ইনিংস উপহার দিলেন কেএল রাহুল। টেস্টে নিজের সপ্তম শতরান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেন। আর সেই সঙ্গে প্রথম দিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সুবিধাজনক জায়গাতে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া।
মাঠে বল গড়ানোর আগেই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার এই সিরিজ নিয়ে আলোচনা চলছিল একটু বেশিই। প্রথমত, মাঠের বাইরের হাজারো বিতর্ক দূরে ঠেলে রেখে ক্রিকেটাররা কেমন পারফর্ম করেন, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সমর্থকরা। পাশাপাশি কোহলির হাত ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট জয়ের মিরাকল ঘটবে কি না, সে প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। আর এতসব প্রত্যাশার চাপ নিয়েও শুরুটা মন্দ করল না ভারতীয় দল (Team India)। খেলার প্রথম দিনই তৈরি হল নয়া রেকর্ডও।
বক্সিং ডে টেস্টে টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি (Virat Kohli)। দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও রাহুল এসেই জাঁকিয়ে বসেন ক্রিজে। আর তাতেই কাছে দীর্ঘ ১১ বছরের খরা। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তৃতীয় ভারতীয় ওপেনিং জুটি হিসেবে ১০০ রানের গণ্ডি পেরোন তাঁরা। ২০০৭ সালে ওয়াসিম জাফর এবং দীনেশ কার্তিক ১৫৩ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড গড়েছিলেন। এরপর ২০১০ সালে ওপেনিং জুটি হিসেবে ১৩৭ রান করেন গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দ্র শেহবাগ।
আনরিখ নখিয়া না থাকাটা প্রোটিয়া শিবিরের জন্য় নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা। তবে তাঁর শূন্যস্থান খানিকটা পূরণ করলেন এনগিডি। ৬০ রানে মায়াঙ্ককে ফিরিয়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপকে প্রথম ধাক্কাটা দেন তিনি। চেতেশ্বর পূজারা (০) এবং বিরাট কোহলিকেও (৩৫) ফেরান প্যাভিলিয়নে।
ব্যাটে রানের খরা যেন কাটতেই চাইছে না কোহলির। সেই ২০১৯ সালে শেষবার সেঞ্চুরি এসেছিল তাঁর ব্যাটে। কিন্তু তারপর থেকে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি তাঁকে। এদিনও নিরাশ হতে হল ক্রিকেটপ্রেমীদের। নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে হাজার সমালোচনার জবাব দিতে এবারও ব্যর্থ কোহলি।