‘মোদীজি আমার কথা শুনেছেন’ রাতে টুইট মহুয়া মৈত্রের
করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ আসার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে বুস্টার ডোজের দাবি উঠেছিল। এই আবহে বড়দিনে দেশবাসীদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, নতুন বছরেই স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইনে কাজ করা কর্মী, কোমর্বিডিটি থাকা ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের ‘প্রিকশনারি ডোজ’ দেওয়া হবে। আর এরপরই তৃণমূল সাংসদের উচ্ছ্বসিত টুইট, ‘হ্যালেলুইয়াহ! সম্মানীয় মোদীজি আমার কথা শুনেছেন। শেষ পর্যন্ত ফ্রন্টলাইন কর্মী ও ষাটোর্ধ্বদের জন্য বুস্টার ডোজ চালু হবে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’
২০২১ সাল জুড়ে টিকাকরণ নিয়ে রাজনীতি দেখেছে দেশ৷ কখনও কেন্দ্র টিকাকরণের ধীর গতি নিয়ে রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে, আবার কখনও টিকার আকাল নিয়ে রাজ্য তোপ দেগেছে কেন্দ্রকে৷ নির্বাচনী ময়দানেও টিকা একটি বড় ইস্যু ছিল৷ এই পরিস্থিতিতে ২০২২ সালে দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র৷ এই ইস্যুতে বিরোধীদের হাতে ‘হাতিয়ার’ তুলে দিতেও নারাজ মোদী সরকার৷ এদিকে মোদীর ঘোষণাকে নিজেদের ‘সাফল্য’ হিসেবে তুলে ধরে রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে মরিয়া হবে বিরোধীরাও৷
এই পরিস্থিতিতেই বড়দিনে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে করোনা রোধক ‘প্রিকশন ডোজ’ দেওয়া হবে দেশে৷ এই ডোজ পাবেন কোমর্বিডিটি থাকা ষাটোর্ধ্ব নাগরিকরা এবং চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ নিতে হলে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন দেখাতে হবে বলেও জানান তিনি৷ পাশাপাশি মোদী জানান, আগামী বছর ৩ জানুয়ারি থেকে দেশে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের করোনা টিকাকরণ শুরু হবে৷
এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বড় ও সুরক্ষিত করোনা টিকাকরণ অভিযান চলছে ভারতে৷ চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ ইতিমধ্যেই প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ কোভিড টিকার ১টি ডোজ পেয়েছেন৷ ২টি ডোজ পেয়েছেন ৬১ শতাংশ মানুষ৷ উল্লেখ্য, এর আগে টিকা কেনার দায়িত্ব আংশিক ভাবে রাজ্যগুলিকে দিয়েছিল কেন্দ্র৷ তখন টিকার আকাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল৷ পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির ঘআড়ে দোষ চাপিয়ে টিকাকরণে পুরো দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ এরপর থেকে দেশে টিকাকরণের হার তুলনামূলক ভাবে ভালো৷