সারদা মায়ের জন্মতিথিতে বিশেষ পুজো, ভক্তবসমাগম বেলুড় মঠ, বাগবাজারে
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বিভিন্ন কেন্দ্রে পালিত হচ্ছে শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর ১৬৯ তম জন্মতিথি। সংঘ জননীর জন্মতিথিতে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ পুজো, হোম, যজ্ঞে মুখরিত বেলুড় মঠ এবং বাগবাজারের মায়ের বাড়ি। করোনার বিধিনিষেধ মেনে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা।
শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর জন্মতিথি উপলক্ষে সেজে উঠেছে বেলুড়। রবিবার ভোরে মঙ্গলারতি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বেদপাত্র, ভজন পরিবেশন চলবে দিনভর। হোম এবং নাটমন্দিরে মাতৃসংগীতের আয়োজনও করা হয়েছে। বিকেলে ধর্মসভা এবং সন্ধেয় হবে সন্ধ্যারতি। শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর জন্মতিথি বহু ভক্ত ভিড় জমিয়েছেন বেলুড়ে। করোনাকালে নজিরবিহীভাবে এই প্রথমবার উৎসবে খোলা বেলুড় মঠ। পুণ্যার্থীদের জন্য সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত খোলা ছিল মঠ। বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকবে বেলুড় মঠের দরজা। ভক্তদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কোভিডবিধি মেনে চলতে হবে। পরতে হবে মাস্ক। সঙ্গে থাকতে হবে স্যানিটাইজার। কাঁচের ঘরে উপস্থিত মহারাজ। দূর থেকে তাঁকে প্রণাম করার সুযোগ রয়েছে ভক্তদের। তবে বসে ভোগ খেতে পারেননি কেউ।
করোনার ধাক্কা সামলে চলতি বছরের জুন মাসে ভক্তদের জন্য খোলে বেলুড় মঠের দরজা। সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৪টে পৌনে ৬টা পর্যন্ত খোলা ছিল মঠ। তবে ভক্তদের প্রবেশের ক্ষেত্রে একাধিক নিয়মবিধি জারি করা হয়েছিল। মঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোভিড ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজের শংসাপত্র অথবা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটি পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। মঠে প্রবেশকারীদের সচিত্র পরিচয়পত্রও দেখাতে হচ্ছিল। নিয়মবিধি জারি হলেও, করোনা আবহে অতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কায় উৎসবের সময়ে বেলুড় মঠ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। গুরুপূর্ণিমায় একদিনের জন্য খুলেছিল মঠ।
করোনাকালে এই প্রথমবার বাগবাজার মায়ের বাড়িতেও ভক্ত প্রবেশ অবাধ। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ সংঘাধ্যক্ষ স্বামী প্রভানন্দ আরতি ও মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তরফে তথ্যকেন্দ্র তৈরি হয়েছে। মায়ের বাড়ি সংলগ্ন উদ্বোধন কার্যালয়ে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে