বনগাঁয় মৃত গাছের গায়ে ফুটে উঠল বাংলার শিল্পকলা
গাছের গায়ে বাংলার শিল্পকলা। পশ্চিমবঙ্গের পাহাড় থেকে সমতলের নানান দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। রয়েছে ছৌনাচ, কাঠের পুতুল, বাঁকুড়ার পোড়ামাটির শিল্পের ভাস্কর্য। দার্জিলিং এর বিখ্যাত চা শিল্পকে তুলে ধরতে তিন পাতার ছবিও উঠে এসেছে শিল্পকর্মে। একই সঙ্গে ফুটে উঠছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি। এবং একটি গাছে আঁকা হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ।
দেওয়াল জোড়া শিল্প অনেক দেখেছে কলকাতা এবং গ্রামবাংলা। তবে গাছের গায়ে ছবি তেমনভাবে চোখে পড়েনা। এবার এই কাজে উদ্যোগী বনগাঁ পুরসভা। তাদের উদ্যোগে আর্ট কলেজের একদল যুবক গাছের গায়ে এঁকে চলেছেন ছবি। শতাব্দী প্রাচীন মৃত গাছগুলি অনেক আগেই তারা শাখা প্রশাখা হারিয়েছে। শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে গাছের কাণ্ডটি। সেইসব মৃত গাছকে অন্তত ছবি এঁকে জীবন্ত দেখানোর প্রয়াস নজর কেড়ে নিয়েছে পথচলতি মানুষের।
বনগাঁ শহরের মধ্যে থাকা যশোর রোডের পাশে শতাব্দী প্রাচীন একাধিক শিশু গাছ রয়েছে। যশোর রোড সম্প্রসারণের জন্য গাছ কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে বৃক্ষপ্রেমীদের বাধায় সেই কাজ আপাতত স্থগিত। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। গাছ কাটার কাজ শুরুর পর তা এখন বন্ধ । এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি গাছ মারা গিয়েছে। শুকিয়ে গিয়েছে কাণ্ড। এমনই শুকিয়ে যাওয়া কয়েকটি গাছের গায়ে খোদাই করে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বাংলার শিল্পকলা। কেমন লাগছে? এই প্রশ্নের উত্তরে বনগাঁর বাসিন্দা মৃন্ময় বসু বলেন, এই কাজের ফলে শহরের পরিবেশ বদলে যাবে। কদর পাবে শিল্প।
এই কাজে যুক্ত কলকাতার সরকারি চারু ও চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শুভম পাল বলেন, রাস্তাকে চারপাশকে দৃষ্টিনন্দন করতে বাংলার নানা শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মৃত গাছগুলির গায়ে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই কাজ হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, এতে একদিকে যেমন সৌন্দর্য্যায়ন হবে তেমনি শিল্পেরও প্রসার হবে। কলকাতার পাশাপাশি শান্তিনিকেতন থেকেও কয়েকজন শিল্পী এই কাজে যুক্ত হয়েছেন।