সারের কালোবাজারি করলে বাতিল হবে লাইসেন্স, হুঁশিয়ারি কৃষিমন্ত্রীর
সার বিক্রিতে কেউ কালোবাজারি করলেই তার লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কৃষিমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম উত্তরবঙ্গ সফরে এলেন তিনি। এদিন আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার কৃষিদপ্তরের পদস্থ আধিাকরিকদের নিয়ে বৈঠক করেন শোভনদেববাবু। তার আগে সার নিয়ে কলোবাজারি করার অভিযোগ তাঁর কানে আসে। তারই সূত্র ধরে বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কৃষকদের হয়রানি করা চলবে না। ওঁরা দেশের সম্পদ। তাঁদের জন্যই আমরা ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাই চাষিদের যারা ঠকাবেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে আসার পরই কৃষিমন্ত্রী জানতে পারেন, বিভিন্ন জেলায় সারের কালবোজারি চলছে। নায্য দামের পরিবর্তে বস্তা পিছু ৪০০- ৬০০ টাকা পর্যন্ত সারের দাম বেশি নিচ্ছেন কিছু অসৎ ব্যবসায়ী। কালোবাজারি চালাচ্ছেন। তাদের এই কালোবাজারি বন্ধ করতে তিনি জেলা প্রশাসন ও কৃষিদপ্তরকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন।
শনিবার কৃষিমন্ত্রী কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছন। আলিপুরদুয়ারের জয়ন্তীতে সরকারি বাংলোয় রাত কাটান। রাতে অবশ্য জয়ন্তীর প্রকৃতির শোভা দেখা হয়নি মন্ত্রীর। তবে জয়ন্তীতে সরকারি বাংলোয় রাত কাটিয়ে উচ্ছ্বসিত কৃষিমন্ত্রী।
রবিবার দুপুরে জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যায় আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি, দুই জেলার কৃষি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী। বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা, আলিপুরদুয়ার জেলা কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) হরিশচন্দ্র রায়, জলপাইগুড়ি কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) অসীম চক্রবর্তী ও কৃষিদপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক। বৈঠকের আগে শোভনদেববাবু বলেন, মন্ত্রী হওয়ার পর উত্তরবঙ্গে আসা হয়নি। তাই এলাম। ছয়-সাতমাস ধরে শুধু নির্বাচনই করছি। আলিপুরদুয়ারে অনেকবার এসেছি। আলিপুরদুয়ারের প্রয়াত জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বরঞ্জন সরকার আমার বন্ধু ছিল। এই জেলার কংগ্রেস নেতা পুলিন চৌধুরীর সঙ্গে এখনও আমার কথা হয়। উত্তরবঙ্গজুড়ে রাসায়নিক সারের কালোবাজারির বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারের কালোবাজারি নিয়ে কলকাতায় বসে যত অভিযোগ পেয়েছি, প্রত্যেককে ন্যায্য দাম পাইয়ে দিয়েছি। যারা কালোবাজারি করছে, তাদের বাড়তি টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করেছি। সারের কালোবাজারির জন্য অনেকের লাইসেন্স বাতিল করতে নির্দেশ দিয়েছি। কৃষিমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, কালোবাজারি নিয়ে খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে কৃষকদের যাতে টোকেন পেতে সমস্যা না হয়, তা আমরা দেখছি। বৈঠকের পর এদিন ফের জয়ন্তীতে সরকারি বাংলোয় ফিরে যান মন্ত্রী। সেখানে রবিবারও রাত কাটান।