আসানসোলে পুরনিগম নির্বাচনের জন্য নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন তুললেন বিজেপি নেতা, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির
বিধানসভা ভোটের পর থেকে প্রায় সব ভোটেই পর্যুদস্ত বিজেপিতে (BJP) গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই আদি বনাম নব্য কর্মীদের দ্বন্দ্ব সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে গেরুয়া শিবির৷ তার উপর দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় হতাশায় ভুগছেন কর্মীরা৷ এর মধ্যে আসানসোলের (Asansol BJP) ঘটনায় আরও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বিজেপি৷ আসন্ন পুরনিগমের (Asansol Minucipal Election BJP) নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলতে দেখা গেল মন্ডল দুইয়ের বিজেপি নেতাকে৷ যা দেখে কেউ কেউ বলছেন, টিকিট পাবেন না বুঝতে পেরেই আগেভাগে নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলে নেন ওই নেতা৷
রাজ্যের বকেয়া পুরনিগমগুলির ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে গেল মনোনয়নপত্র তোলা৷ যেহেতু কোনও দলেরই প্রার্থিতালিকা প্রকাশিত হয়নি, তাই কোনও দলের প্রার্থীরাই প্রথমদিন মনোনয়নপত্র তুলতে পারেননি৷ কিন্তু নির্দল হিসেবে অনেকেই আসানসোলের সেন্ট জোসেফ হাইস্কুলে এসে মনোনয়নপত্র তুলে নিয়ে যান৷ সেই ভিড়ের মধ্যে দেখা যায় বিজেপি মন্ডল দুই-এর সভাপতি সুদীপ চৌধুরীকে৷ বিজেপি নেতা হয়েও নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলে নিয়ে যান তিনি৷ তবে কি দল প্রার্থী করবে বুঝতে পেরেই নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত? এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সুদীপ চৌধুরী৷
রাজ্যের যে সব এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত সেই তালিকায় সবার আগেই থাকবে আসানসোল-দুর্গাপুরের নাম৷ পরপর দু’বার লোকসভা ভোটে আসানসোল কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে রাখে বিজেপি৷ এমনকি বিধানসভা ভোটে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে জয়ী হন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পল৷ কিন্তু একুশের ভোটে বিপর্যয়ের জেরে গেরুয়া শিবিরের এই শক্ত ঘাঁটিতেও ধস নামে৷ পদ্মের পাপড়ির খসে পড়ার মতো একে একে দল ছাড়েন নেতারা৷ খোদ এখানকার সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেন৷ তারপর থেকে আসানসোলে আরও ছন্নছাড়া বিজেপি৷ পুরভোটে প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর দলত্যাগের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রমাদ গুণছেন নেতারা৷ তাঁদের মতে, তখন সুদীপ চৌধুরীর মতো অনেকেই নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়াতে চাইবেন৷