ইস্যু পারিশ্রমিক, ওয়েব সিরিজে নওয়াজের পরিবর্তে চারুর চরিত্রে মনোজ
পুলিস আধিকারিক রুণু গুহ নিয়োগীর বিতর্কিত গ্রন্থ ‘সাদা আমি কালো আমি’ নিয়ে ওয়েব সিরিজ তৈরি করছেন পরিচালক সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়। তখন পরিচালক বলেছিলেন, নকশাল নেতা চারু মজুমদারের চরিত্রে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি অভিনয় করবেন। যদিও তারপর বিভিন্ন মাধ্যমে নওয়াজ জানিয়েছিলেন, তিনি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে ইচ্ছুক নন। নতুন খবর হল, চারু মজুমদারের চরিত্রে অভিনয় করছেন না তিনি। তাঁর বদলে এখন এই ছবিতে কাস্ট করা হয়েছে মনোজ বাজপেয়িকে। অভিনেতা বদল হচ্ছে আর এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেরও। চারুর সহযোগী বন্ধু কানু সান্যালের চরিত্রে প্রথমে ভাবা হয়েছিল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে। এখন শোনা যাচ্ছে, এই চরিত্রে অভিনয় করবেন বাংলাদেশের শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী।
কেন এই বদল? সূত্রের খবর, পর্ব প্রতি বিরাট অঙ্কের টাকা চাইছিলেন নওয়াজ। প্রথমে প্রতি পর্বের জন্য দেড় কোটি টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে দাবি করেছিলেন তিনি। নির্মাতারা নাকি এই পারিশ্রমিক দিতে রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু এবার তিনি প্রায় দ্বিগুণ অর্থ হেঁকে বসায় পিছু হটেছেন তাঁরা। সরাসরি একথা স্বীকার না করলেও পরিচালক বলছিলেন, ‘বাজেটের একটা সমস্যা তো হচ্ছেই। তার সঙ্গে নওয়াজের ডেট পাওয়া নিয়েও একটা সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা এই চরিত্রে মনোজ বাজপেয়িকে ভাবছি।’ ইতিমধ্যে মনোজের সঙ্গে প্রাথমিক স্তরের কথাবার্তা এগিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কথা এগিয়েছে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গেও। প্রযোজক আর পরিচালকের সম্মিলিত ইচ্ছেতেই নাকি এই বদল বলে শোনা যাচ্ছে। এই বিষয়ে চঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি নিরুত্তর থেকেছেন।
অন্যদিকে, বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর চরিত্রে দু’জন অভিনেতার নাম ঘুরপাক খাচ্ছিল। বোমান ইরানি ও পরেশ রাওয়াল। পরিচালক দ্বিতীয় জনকেই বেছে নিয়েছেন। আর চারু মজুমদারের স্ত্রী লীলা মজুমদারের চরিত্রে বাংলাদেশের আর এক অভিনেত্রী জয়া আহসানকে অভিনয় করতে দেখা যাবে। রুণু গুহ নিয়োগীর চরিত্রে অভিনয় করছেন রণিত রায়।এই সিরিজের গল্প লিখেছেন অরিজিত্ বিশ্বাস। যিনি এর আগে আয়ুষ্মান খুরানা-টাবু অভিনীত ‘অন্ধাধুন’ ছবির গল্প লিখেছিলেন। সামনের বছর পুজোর পরেই সিরিজের শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মাওবাদী নেতা কিষেণজি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আদলেও চরিত্র থাকবে। প্রথম পর্যায়ে ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ’৭২ সাল পর্যন্ত তুলে ধরা হবে। সেই সময়ের উত্তাল নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটেই তৈরি হবে এই সিরিজ। যার নাম হতে চলেছে ‘সাদা কপ কালা কপ’ অথবা ‘ক্যালকাটা ক্রনিকল’।