রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাঙালির মন জয় করতে নিরামিষ ছেড়ে মাছে-ভাতে মজেছে বঙ্গ বিজেপি

December 28, 2021 | 2 min read

বাংলার মন বুঝতে হবে বিজেপিকে(BJP)। বাংলায় রাজনীতি করতে গেলে পুরোদস্তুর বাঙালি হতে হবে। তবেই সাফল্য আসবে। একুশের বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর এই আওয়াজ উঠেছে গেরুয়া শিবিরে। তাই এবার নিরামিষ ছেড়ে মাছে-ভাতে মজেছে বিজেপি। তাই সোমবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে নিরামিষ বাদ দিয়ে মেনুতে এল ফিশফ্রাই-মাছের কালিয়া। এর আগে কবে, কখন বিজেপি কোন অনুষ্ঠানে দলের নেতাকর্মীদের জন্য মাছের কালিয়া, ফিশফ্রাই হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না কেউ-ই।

বিজেপি বিরোধীরা বরাবরই বলে এসেছে, এটা বহিরাগত দল। গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিটা গোবলয়ের জন্য। কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে আবদ্ধ এই দলটা। একুশের বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই এই ভাবমূর্তিটা ভাঙতে চেষ্টা করছেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা।

সেই লক্ষ্যপূরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডারা রাজ্যে এসে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। দুর্গাপুজোয় বাঙালি পোশাক ধুতি-পাঞ্জাবি পরে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী। এমনকী, তাঁর বিভিন্ন জনসভা কিংবা মন কি বাতে উঠে এসেছে বাংলা বিশিষ্টজনেদের নানা কীর্তি। তবু বাঙালি মন জয় করতে পারেনি তারা। তাই এবার হয়তো একেবারে গোড়া থেকে বাঙালি ধাঁচে সাজতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। তাই বোধহয় খাবারের মেনুতে এই পরিবর্তন মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


এদিকে এদিন কেন্দ্রীয় নেতা বি এল সন্তোষের উপস্থিতিতে দলের খোলনোলচে বদল নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। সংগঠনে তারুণ্যের ঝাঁজ। পুরভোটের আগে দ্রুত সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কথা বলা হয়েছে। দলীয় পদ পেতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বয়স। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সাংগাঠনিক জেলাগুলিতে যুব মোর্চার সভাপতি ৩৫ বছরের বেশি হবে না। মণ্ডল সভাপতির বয়স ৪৫-এর বেশি নয়। ৯- ১০ জানুয়ারির আগে সব মোর্চা ও জেলা কমিটির পদাধিকারী চূড়ান্ত করতে হবে। ৩০ শে জানুয়ারি র আগে সব মণ্ডলের কমিটি ও পদাধিকারী চূড়ান্ত করতে হবে।

এদিকে জানুয়ারির শেষ দিকে রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ। ১০ জানুয়ারির মধ্যে আসবেন জে পি নাড্ডা। বিজেপির পদাধিকারীদের বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বি এল সন্তোষ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Food, #West Bengal, #fish, #Bengal BJP, #menu, #bengal politics

আরো দেখুন