কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

ওমিক্রন উদ্বেগের মধ্যেও বইমেলার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে, জানাল গিল্ডকর্তা

December 30, 2021 | 2 min read

গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণ যে ভাবে হু-হু করে বাড়ছে, তাতে বহু পরিকল্পিত কর্মসূচিই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ এবং চিন্তা সম্ভবত দেখা দিয়েছে কলকাতা বইমেলা নিয়ে। করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে বইমেলা হতে পারেনি। ফলে শেষ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা হয়েছিল ২০১৯ সালে।

করোনার প্রকোপ কমে আসার পর এবং অধিকাংশ নাগরিকের জোড়া টিকা হয়ে যাওয়ার পর ২০২১ সালের বইমেলা হবে বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। মেলার সময়সীমা ঠিক হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে এবং স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, তৃতীয় ঢেউ প্রায় চলেই এসেছে, তাতে গোটা পরিস্থিতিটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

করোনা-বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি ঢেউ এলে তা বিদায় নিতে অন্তত ছ’সপ্তাহ সময় নেয়। ফলে তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়ে থাকলে (বা অল্প কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে ধরে নিলে) তা মধ্য-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা। ঠিক যে সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা কলকাতা বইমেলা। বস্তুত, কলকাতা বইমেলা হবে ধরে নিয়েই এবার জেলার বইমেলাগুলি হয়েছে। সেই সময়েই ঠিক হয়েছিল, জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা বইমেলা হবে না। কারণ, জেলার প্রকাশকরা কলকাতা বইমেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত থাকবেন।

গত বছর বইমেলা না হওয়ায় সমস্ত প্রকাশকেরাই ২০২১ সালের কলকাতা বইমেলার দিকে তাকিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে করোনা-আতঙ্ক নতুন করে ছড়িয়ে পড়ায় বইপাড়ায় এবং প্রকাশকদের মধ্যে উদ্বেগ এবং শঙ্কা তৈরি হয়েছে। শঙ্কা— ওমিক্রন এবং করোনার দাপটে এ বছরও না বইমেলা বন্ধ হয়ে যায়!

বইমেলার উদ্যোক্তা গিল্ডের কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তাঁরা সমস্ত প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছেন। ত্রিদিবের কথায়, ‘‘আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। স্টল বুকি, টেবিল বুকিং প্রায় শেষ। এ বারের থিম অনুযায়ী বাংলাদেশের বিভিন্ন তোরণ বা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও চলছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা মতোই এগোচ্ছি।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata Book Fair, #Covid 3rd Wave, #Omicron

আরো দেখুন