চার পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকের পর আজ বিধাননগর,চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস।
চার পুরনিগমের মধ্যে তুলনামূলক বেশি চর্চায় রয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভা৷ সেখানকার প্রার্থী তালিকায় রয়েছে একাধিক চমক৷ গৌতম দেবকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে৷ ঠিক তেমনি সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অনেককেই প্রার্থী করা হয়েছে৷
গৌতম দেব ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা৷ শেষ পুরভোটে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত ছিল৷ একারণে তিনি প্রার্থী হননি। তবে, এবার তাঁকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে৷ ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিধায়ক শংকর ঘোষকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁর বিরুদ্ধে পুরনো সৈনিকেই আস্থা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতুল চক্রবর্তীকে শিলিগুড়ির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে তৃণমূল৷ ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বামেদের প্রার্থী প্রাক্তন মেয়র-মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর বিরুদ্ধে মহম্মদ আলম তৃণমূলের হয়ে পড়বেন। এছাড়াও একাধিক পুরনো সৈনিকের পাশাপাশি প্রাক্তন জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারও প্রার্থী হয়েছেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়ছেন রঞ্জন সরকার৷ বহু নতুন মুখও তবে তালিকায় রয়েছে।
বিধাননগর পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা সব্যসাচী দত্ত। বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও রয়েছেন তালিকায়। এছাড়া টিকিট পেলেন নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে এবং যুব তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তীও।
এবারের তালিকায় নাম কাটা গিয়েছে অনেক পুরনো কাউন্সিলরের৷ টিকিট পাননি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের নীলাঞ্জনা মান্না, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্মল দত্ত প্রমুখেরা৷ এই স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন৷ যদিও দু’দিন পরই তিনি আবার পুরনো দলেই ফিরে আসেন৷ তাঁর পরিবর্তে ওই ওয়ার্ডে টিকিট দেওয়া হয়েছে নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ এছাড়া ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে কাকলি সাহা এবং ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন আলো দাস দত্ত৷ ৪১ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় বাদ পড়েছে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের নাম৷ তাঁর পরিবর্তে প্রার্থী হয়েছেন রত্না ভৌমিক৷
বিধাননগর পুরভোটে এবার প্রার্থী করা হয়নি বিদায়ী ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়কে৷ তবে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়বেন তাঁর মেয়ে আরাত্রিকা ভট্টাচার্য৷
চন্দননগর পুরসভার ভোটে প্রাক্তন মেয়রের ওপরই আস্থা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী আবারও প্রার্থী হয়েছেন। সূত্রের খবর, চন্দননগরে তাঁর যোগ্য বিকল্প না পেয়ে, আবারও রামকেই সামনে রেখে লড়তে নামছে শাসকদল।
আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপি-তে চলে গিয়েছেন। অপর প্রাক্তন মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় পুরভোটে প্রার্থী হতে চাননি। তাই এ বার আসানসোলে কোনও প্রাক্তন মেয়রকে টিকিট দেওয়ার সুযোগ ছিল না তৃণমূলের। বরং পশ্চিম বর্ধমানের এই শিল্পাঞ্চলের পুরভোটে অনেক বেশি নতুন মুখের ওপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যের ছাত্র রাজনীতির পরিচিত মুখ তথা প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি অশোক রুদ্রকে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি ৭৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়বেন। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে ফের একবার তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। তিনি বিদায়ী পুরবোর্ডের মেয়র পারিষদ ছিলেন।
দেখে নিন ৪টি পুরসভার প্রার্থী তালিকাঃ