মন্ত্রী নয়, চেয়ারম্যান হিসেবে কারিগরি শিক্ষা দপ্তরে ফিরছেন পূর্ণেন্দু
ফের কারিগরি শিক্ষাদপ্তরে ফিরছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। তবে আর মন্ত্রী হিসেবে নয়। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংসদের চেয়ারম্যান হয়ে আসতে চলেছেন তিনি। সূত্রের খবর, শীর্ষ প্রশাসনিক স্তর থেকে নির্দেশ পেয়ে তাঁর নাম প্রস্তাব আকারে নবান্নে পাঠাচ্ছে কারিগরি ভবন। তবে, এই খবরে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দপ্তরে। যদিও, বিষয়টি পূর্ণেন্দু বসু এখনও জানেন না বলেই দাবি করেছেন।
একসময় বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তখনও জুড়ে যায়নি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদ। ওই সময়েই তাঁর বিভিন্ন পদক্ষেপে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে তাঁর। পরবর্তীকালে তাঁকে সেই পদ থেকে সরানো হয়। যদিও, তখনই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি তিনি। তবে, দলত্যাগের পরে এই দপ্তরে তাঁকে যে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, সেই অভিযোগ তিনি তুলেছিলেন। তখন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন উজ্জ্বল বিশ্বাস। পদাধিকার বলে কারিগরি শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সেই সময়ে রুদ্রনীলের সঙ্গে মন্ত্রীর বিরোধ চরমে পৌঁছেছিল। তারপরে উজ্জ্বল বিশ্বাসকেও সেই দপ্তর থেকে সরিয়ে অসীমা পাত্রকে মন্ত্রী হিসেবে আনা হয়। তার পরে সেই দপ্তরে মন্ত্রী হন পূর্ণেন্দু বসু। চারবছর মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
প্রশ্ন উঠতে পারে, দীর্ঘদিন দপ্তরের কাজ চালানো পূর্ণেন্দুবাবুকে সংসদের চোয়রম্যান করা নিয়ে আলোড়নের কী আছে? সে প্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদ জুড়ে যাওয়ার পরে এর চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। প্রযুক্তিবিদ বা কারিগরি শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত লোকজন, আইন বা ফিনান্সের ডিগ্রিধারীদের বাছাইয়ের কথা বলা হয়েছিল গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে। শেষতম চেয়ারম্যান সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও একজন প্রযুক্তিবিদ। তাঁর শিল্পক্ষেত্রের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। সেই জায়গায় আর্টস গ্র্যাজুয়েট পূর্ণেন্দুবাবুকে বাছাই করা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। চেয়ারম্যান হিসেবে পাঠ্যক্রম তৈরি, পরীক্ষাগ্রহণ সহ বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
আরেকটি অংশের মতে, দপ্তরটি চেনা-জানা কেউ চেয়ারম্যান হিসেবে আসছেন, এটি ভালো কথা। আবার অন্য অংশের আশঙ্কা, এতে ব্যক্তিত্বের সংঘাত ঘটবে না তো! হুমায়ুন কবির এখন দপ্তরের মন্ত্রী। আরেক প্রাক্তন মন্ত্রী চেয়ারম্যান হিসেবে আসছেন। প্রায় এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বেতন এবং গাড়ি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেলেও পূর্ণেন্দুবাবুকে কাজ করতে হবে হুমায়ুন কবিরের নির্দেশেই। এদিকে, পূর্ণমন্ত্রী হুমায়ুন কবির কতটা জায়গা ছাড়বেন, সেটাও ভবিষ্যৎ বলবে।