রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

শহরে ১১টি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করল প্রশাসন

January 1, 2022 | 2 min read

ছবি: প্রতীকী

শহরে ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত। প্রতিদিন কার্যত দ্বিগুণ হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই উদ্বিগ্ন প্রশাসন। রাশ টানতে কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোন বা মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট ফেরানোর ইঙ্গিত কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন। অবশেষে সেই পথেই হাঁটতে হচ্ছে কলকাতা পুরসভাকে। আপাতত ১১টি রাস্তা চিহ্নিত হয়েছে। যেখানে আগামী সোমবার অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি থেকে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট করা হবে।


শুক্রবার এনিয়ে লালবাজারের কর্তাদের সঙ্গে পুরসভায় জরুরি বৈঠকে বসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। ছিলেন পুর স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও। বরো স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ওয়ার্ডভিত্তিক রিপোর্ট জমা করেন। যার ভিত্তিতেই এই মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিসকে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। ওই সমস্ত এলাকায় মাইকিং, ব্যারিকেড থেকে শুরু করে প্রয়োজনে পুলিস পিকেটিংও করা হবে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, সামনের সপ্তাহ থেকেই সেফ হোম খোলা হচ্ছে শহরে। সংক্রমিত আবাসন কিংবা কমপ্লেক্সে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করবে পুরসভা। লিফটে সেই কাজ করার দায়িত্ব আবাসন কমিটির। যেখানে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট করা হবে, সেখানে জিম, সুইমিংপুল, মাঠে খেলা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। পাঁচ দিন অন্তর টেস্ট এবং রিভিউ করা হবে। আইসোলেশনের উপর জোর দিতে হবে। বৈঠক সূত্রে খবর, প্রথমে মাইক্রো কন্টেইনমেন্টর জন্য ২৪টি রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক হয়, ৫টি বা তার বেশি আক্রান্ত যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই শুধুমাত্র মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট করা হবে। যার ভিত্তিতে আপাতত ১১টি রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে। ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি, ১৬, ৫৯, ৬৫, ৭৮, ৮০, ৮৫ ও ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি করে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট হচ্ছে। 


লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক রায় রোড, বেলভেডিয়ার রোড, ময়ূরভঞ্জ রোড, এন এস সি বোস রোড, ক্যানেল রোড, পণ্ডিতিয়া রোড, বালিগঞ্জ পার্ক, তিলজলা রোড, জাজেস কোর্ট, ভূতঘাট এলাকার সিআইএসএফ ইউনিট মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পুরসভা সূত্র বলছে, স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে শহরের ন’টি বরো এলাকা। সেগুলি হল ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ ও ১২ নম্বর বরো। অর্থাৎ উত্তর কলকাতার উল্টোডাঙা, হাতিবাগান সহ সংলগ্ন এলাকা, মধ্য কলকাতার শিয়ালদহ থেকে কলেজ স্ট্রিট আবার দক্ষিণে পার্ক সার্কাস থেকে বাইপাস লাগোয়া কসবা, কালিকাপুর, মুকুন্দপুর সর্বত্রই স্পর্শকাতর এলাকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যাদবপুর, বালিগঞ্জ, ভবানীপুর থেকে চেতলা, টালিগঞ্জ, বেহালা, জোকার মতো শহরের একেবারে দক্ষিণেও সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। তথ্য বলছে, শহরের ৯টি বরোর মধ্যে ৪টিতে (৩, ৪, ৫, ৬) ১৭ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত ১৮ জন থেকে ৯৬ জন পর্যন্ত আক্রান্ত ছিলেন। ১৪ দিনে (১৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর) সেই সব জায়গায় দ্রুত করোনা বেড়েছে। বেশি চিন্তায় ফেলেছে ৭, ৮, ৯, ১০ ও ১২ নম্বর বরো। সব থেকে বেশি ১০ নম্বর বরোয় গত ১৪ দিনে আক্রান্ত ৬১৪ জন। ওয়ার্ডের নিরিখে ৭৪, ৬৯, ৬৩, ২৬, ৬৫, ৩১, ১০৯, ৭১, ৮১ এবং ৯৪ নম্বরে গত দু’সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। অন্যদিকে, ১, ২, ১১, ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর বরোতে গত ১৪ দিনে অবশ্য অনেকটা‌ই স্থিতিশীল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Containment Zones, #Omicron, #West Bengal, #Kolkata, #covid 19, #Bengal Fights Corona, #KMC

আরো দেখুন