আজ থেকে ১৫ থেকে ১৮ বয়সীদের টিকাকরণ, প্রস্তুত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা এবং ভ্যাকসিনের জন্য লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছে সরকার। সচেতনতার ঘাটতির জেরে বাংলায় কোভিড পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু টিকাকরণে কোনওরকম ঘাটতি চাইছে না রাজ্য সরকার। তাই বিধি-নিষেধ কার্যকর হলেও আজ, সোমবার থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ কর্মসূচি যথারীতি জোরকদমে শুরু করছে স্বাস্থ্যদপ্তর। স্থির ছিল, প্রথম দিন পরিস্থিতি দেখে ধীরে ধীরে ১৫ ঊর্ধ্বদের টিকাদানের জন্য স্কুল ও টিকাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে। কিন্তু রবিবারই সেই সিদ্ধান্ত বদল করেছে সরকারের শীর্ষ মহল। আজ ৫০০ স্কুল ছাড়াও রাজ্যের সমস্ত কোভ্যাকসিন কেন্দ্রেই শুরু হবে ছাত্রছাত্রীদের টিকাকরণ। ফলে ৪৭৯ স্কুল সহ ৮০০’র বেশি টিকাদান কেন্দ্রে ১৫-১৮ বয়সসীমার ছাত্রছাত্রীদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গোটা দেশে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি ৭ কোটি ৪০ লক্ষ ৫৭ হাজার নাগরিককে এই পর্বে টিকা দেওয়া হবে। রাজ্যে ওই বয়সি টিকাগ্রাহকের সংখ্যা ৪৮ লক্ষ। বয়ঃসন্ধিদের টিকা সংক্রান্ত নাম নথিভুক্তির কাজ ‘কো-উইনে’ শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি থেকে। আর প্রথম দিনেই নাম নথিভুক্ত করেছেন ৩ লক্ষ ১৫ হাজার ৪৮৪ জন। স্বাভাবিকভাবেই রবিবার তা আরও বেড়েছে। সব মিলিয়ে নাম উঠেছে ৫ লক্ষ ৭৫ হাজারের।
রবিবারই এ ব্যাপারে রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, টিকার অভাব হবে না। এই টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য রাজ্যের ঘরে ৬০ লক্ষ কোভ্যাকসিন ছিলই। রবিবার আরও আড়াই লক্ষ টিকা ঢুকেছে শহরে। ফলে রাজ্যের হাতে মজুত রয়েছে ৬২ লক্ষ ৫০ হাজার ডোজ কোভ্যাকসিন। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, ‘এক মাসে ১৫-১৮ বয়সসীমার ছাত্রছাত্রীদের প্রথম ডোজ শেষ করাই আমাদের লক্ষ্য’।
সূত্রের খবর, আজ সকাল ৯টা থেকে টিকাকরণ শুরু হবে। যতক্ষণ কিশোর-কিশোরীরা ভ্যাকসিন নিতে আসবেন, ততক্ষণই চলবে শিবির। বাংলার কতজন ছাত্রছাত্রী আগাম অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করেছেন, সেকথাও জানা যাবে আজ। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাদপ্তরের কর্মীরা যৌথভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। যাঁরা টিকা দিচ্ছেন, সেই ভ্যাকসিনেটররা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী। অন্যদিকে ল্যাপটপ চালানো এবং ডেটা এন্ট্রির কাজ করার কথা শিক্ষাদপ্তরের কর্মীদের। রাজ্যের টিকাদান কর্মসূচির এক পদস্থ কর্তা বলেন, আমাদের রিজার্ভে কয়েক হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী আছেন। প্রয়োজন পড়লে তাঁদেরও কাজে লাগানো হবে।