মেয়াদ উত্তীর্ণ টিকার লেবেল বদলে বাচ্চাদের দিচ্ছে মোদী সরকার? বিতর্ক
আজ থেকে ভারতে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই টিকা নেওয়ার জন্য ১৩ লক্ষ রেজিস্ট্রেশন হয়েছে।এই টিকাকরণ অভিযানে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হবে। আর তার আগেই পুরোনো টিকার ভায়ালে নতুন করে লেবেল লাগানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।
ভারত বায়োটেকের তরফে বেসরকারি হাসপাতালে থাকা পুরোনো স্টক সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ্যে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে চলেছে এমন টিকার ভায়ালের লেবেল বদলে সেগুলিই টিকাকরণের জন্য দেওয়া হচ্ছে।
আজ এক টিকাকরণ কেন্দ্রে এমনই এক ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন এক ব্যবহারকারী। তিনি তাঁর সন্তানের সুস্বাস্থ্য নিয়ে সন্দিহান হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।
গত নভেম্বরে ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার থেকে টিকার মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন পেয়েছে তারা। ৬ মাস থেকে মেয়াদ বৃদ্ধি করে বারো মাস করা হয়। এরপরেই ভারত বায়োটেক নিজেদের খরচে বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকা টিকাগুলি তুলে নিয়ে নতুন করে লেবেল লাগানোর কাজ শুরু করে।
অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথকেয়ার প্রোভাইডার্স ইন্ডিয়ার তরফে ভারত বায়োটেকের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পড়ে থাকা টিকার স্টক তুলে নেওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে। এই সংস্থা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, প্রায় ৫০ হাজার ভ্যাকসিনের ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৫ হাজার ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছিল মার্চে। ভারত বায়োটেক সেইসব ভ্যাকসিন হাসপাতালগুলি থেকে তুলে নিয়েছে নতুন করে লেবেল সাঁটতে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সারা দেশে দুলক্ষের মতো পুরোনো ভ্যাকসিনের রি- লেবেলিং করা হচ্ছে। সূত্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে কোল্ড চেনের নিয়ম মেনে স্টক তুলে নিয়ে সংস্থার তরফে রি-লেবেলিং করে তা ফের হাসপাতালগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে।