কলকাতায় ২৫টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন, চালু হচ্ছে ৩ সেফ হোমও
আশঙ্কাই সত্যি হল। কলকাতায় বাড়ল মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের (Micro Containment Zone) সংখ্যা। সোমবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন, কলকাতায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫। এর মধ্যে বেশকিছু কনটেনমেন্ট জোনও রয়েছে। সোমবার রাত থেকেই এই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনগুলি কার্যকর করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করছে কলকাতা পুরসভা। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশকেও।
এদিন মেয়র আরও জানিয়েছেন, ফ্ল্যাট, আবাসন, বাড়ি কিংবা হস্টেলের ৪-৫ জন করোনা আক্রান্ত হলেই সেটিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন বা কনটেনমেন্ট জোন (Containment Zone) হিসেবে ঘোষণা করা হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে মানিকতলা, ফুলবাগান, কাকুড়গাছি, প্রগতি, ট্যাংরা, আরবানা-সহ একাধিক এলাকায়। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক জানিয়েছেন, নিউটাউন, দমদম, বিধাননগরেও চিহ্নিত করা হচ্ছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন।
এদিকে কলকাতার তিনটি সেফ হোম চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ শয্যার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, তপসিয়ার ২০০ শয্যার সংবাদ প্রতিদিন হাউস এবং ৫০ শয্যার উত্তর কলকাতার হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনের লেডিস হস্টেল। শহরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন পুরসভায় বৈঠকে বসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। ছিলেন মেয়র পারিষদ এবং পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা।
মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন বৃদ্ধি সম্পর্কে মেয়র বলেন, “এবারের ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের গতি অনেক বেশি। শহরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে, সংক্রমণ রুখতে পুলিশের সাহায্য নিয়ে শহরে আরও অনেক বেশি সংখ্যায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করতেই হবে।” মেয়রের আশা, ১৫ দিন কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকার পর পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।