রাজ্যে জারি বিধিনিষেধ, নাড্ডার সফরসূচি বদলের সম্ভাবনা
কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে জারি কড়া বিধিনিষেধ। এই অবস্থায় আগামী ৯ ও ১০ জানুয়ারি কলকাতায় আসার কথা রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J P Nadda)। কোভিড পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা শেষ পর্যন্ত দেখে নিতে চাইছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। নাড্ডা এলেও ঘরোয়া বৈঠকই করবেন তিনি। অল্প সংখ্যক নেতাদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। বিজেপি সভাপতির এই সফরসূচিতে বড় কোনও জমায়েতের কর্মসূচি রাখা হবে না বলেই রবিবার জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দলীয় কর্মসূচিতে বাংলায় জে পি নাড্ডা আসবেন তা ঠিক হয়েছিল সম্প্রতি ন্যাশনাল লাইব্রেরির বৈঠকে। সেখানে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ নাড্ডার আসার বিষয়টি জানিয়েছিলেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর বাংলায় কার্যত টালমাটাল অবস্থা বিজেপির। দলের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে। আবার সম্প্রতি নতুন রাজ্য কমিটি গঠন ও জেলা সভাপতি নিয়োগ নিয়ে সেই ক্ষোভ আরও চরমে উঠেছে। কর্মীদের একটা বড় অংশের মনোবলও তলানিতে।
এই পরিস্থিতিতে নতুন বছরের শুরুতেই জে পি নাড্ডাকে দলকে সংগঠিত করতে আসরে নামতে হচ্ছে। ৯ ও ১০ জানুয়ারি দু’দিনের রাজ্য সফরে এসে মূলত দলের বিভিন্নস্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন তিনি। আগামী রণকৌশল ও কর্মসূচি ঠিক করে দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু সাংগঠনিক সিদ্ধান্তও নিতে পারেন তিনি। অন্তত এমনটাই খবর দলীয় সূত্রে। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, দলের রাজ্য পদাধিকারী ও জেলা কমিটিগুলির সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করবেন নাড্ডা। তারপর মোর্চাগুলির সঙ্গে বৈঠক রয়েছে।
শুধু তাই নয়, ২২ জানুয়ারি আসানসোল, বিধাননগর, চন্দনগর ও শিলিগুড়ি পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। এই চার পুরসভার ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার ওষুধও দেবেন। এই চার পুরসভার দলের প্রার্থীদের নিয়েও আলাদা বৈঠক করতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে দু’দিনের সফরের মধ্যে একদিন আসানসোল ও শিলিগুড়িও যেতে পারেন। কারণ, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরসভায় বিজেপির শক্তি ভাল রয়েছে। এই দু’টি পুরসভাকে জয়ের টার্গেট করেই এগোচ্ছে গেরুয়া শিবির। এদিকে, নাড্ডা আসার আগেই দলের জেলা, মণ্ডল ও মোর্চার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে ফেলার চেষ্টা চলছে। যদিও জে পি নাড্ডার সফরসূচি নির্ভর করছে রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতির উপর। আগামী তিন-চারদিন পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে তা দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বঙ্গ বিজেপি।