ককটেল থেরাপির দাম এত বেশি কেন, মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন প্রাক্তন মন্ত্রী
সপরিবার করোনায় আক্রান্ত বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তাঁর স্ত্রী, বাবা এবং বাড়ির কয়েকজন কর্মীর শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। নিজেই টুইটে এই খবর জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। পাশপাশি, এই মুহূর্তে করোনা চিকিৎসায় যে ককটেল থেরাপি (Cocktail Therapy) প্রয়োগ করা হচ্ছে, তার খরচ কমানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় কাবু বহু। তার মাঝে নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিনে রাজ্যের বহু বিশিষ্ট ব্য়ক্তির শরীরে থাবা বসিয়েছে কোভিড-১৯ (COVID-19)। মঙ্গলবার সকালেই বাংলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তিনি মৃদু উপসর্গ নিয়ে রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। দিন কয়েক আগেই কোভিডের চিকিৎসা করিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি করোনার ডেল্টা প্লাস স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ককটেল থেরাপি দিয়ে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে।
আর নিজের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সেই ককটেল থেরাপি নিয়েই সরব হলেন বাবুল সুুপ্রিয়। টুইটে তিনি কেন্দ্রের কাছে এই চিকিৎসা পদ্ধতির খরচ কমানোর আবেদন জানান। আশি ঊর্ধ্ব বাবার বয়সের কথা উল্লেখ করে বাবুলের বক্তব্য, বাবার জন্য এই থেরাপি খুবই প্রয়োজনীয়। কোথায় মিলবে তা? তাঁর আবেদন, অন্তত সমস্ত সরকারি হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে এই চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করা হোক। তাতে কো-মর্বিড রোগীদের চিকিৎসায় সুবিধা হবে। এ বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উল্লেখ করেছেন। তবে এই মুহূর্তে বাবুল সুপ্রিয় এবং স্ত্রীর মৃদু উপসর্গ থাকায় তাঁরা বাড়িতেই রয়েছেন বলে খবর।
অন্যদিকে, চারদিন হাসপাতালে থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি ফিরেছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী সকলের উদ্দেশে বলেন, ”মাস্ক পরুন, প্রয়োজনে ডাবল মাস্ক পরুন। তাহলে সংক্রমণ কিছুটা আটকানো যাবে। সবাইকে খুব সাবধানে থাকতে হবে, ভয়ের কিছু নেই।”