রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

আসানসোল পুরসভা নির্বাচনে সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে ব্যর্থ গেরুয়া শিবির

January 4, 2022 | 2 min read

আসানসোল পুরসভা নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারল না বিজেপি। সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিনে গেরুয়া শিবিরকে জোর ধাক্কা দিয়েছেন ২৫নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী পিন্টু মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন। মনোনয়নপত্র জমাকে ঘিরে আসানসোলে ছিল সাজোসাজো রব। তৃণমূল শিবিরে ছিল উৎসবের মেজাজ। ঘটা করে মিছিল করে মনোনয়ন জমা করতে আসেন বাম প্রার্থীরাও। যদিও গেরুয়া শিবিরে তেমন কোনও উচ্ছ্বাস চোখে পড়েনি। প্রস্তাবক খুঁজতে বারবার ফোন ঘোরাতে হয় নেতাদের। দিনের শেষে সব আসনে মনোনয়নও জমা করতে পারলেন না তাঁরা। মনোনয়ন কেন্দ্রের সামনে করোনা বিধি মানাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় পুলিস ও প্রশাসন।

২২ জানুয়ারি ১০৬ ওয়ার্ডের আসানসোল পুরসভার নির্বাচন। শেষ দিনেই শাসক-বিরোধী দুই শিবির মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। তাই অশান্তি এড়াতে এদিন সকাল থেকে এলাকায় ১৪৪ ধারা লাগু করে পুলিস। বাঁশের ব্যারিকেডের পাশাপাশি ডেপুটি পুলিস কমিশনার কুলদীপ সোনওয়ানে, অভিষেক মোদির নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী রাস্তায় নেমে পড়েন। হ্যান্ড মাইকে বারবার করোনা বিধি-নিষেধ মানার সতর্কবাণী শোনানো হয়। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল শিবিরে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস চোখে পড়ছিল। তাই দলের তরফে কোনও সংগঠিত মিছিল না হলেও প্রিয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে শয়ে শয়ে অনুগামী রাস্তায় নেমে পড়েন। ব্যান্ড পার্টি, সুসজ্জিত বেলুন, ঢাক, ভোট উৎসবে সবই হাজির ছিল তৃণমূল শিবিরে। ১০৬জন প্রার্থীর সুষ্ঠুভাবে মনোনয়ন জমা করাতে হাজির ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, তৃণমূল জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়। অন্যদিকে সিপিএম নেতা কর্মীরাও তাঁদের প্রার্থীদের সামনে রেখে লাল পতাকা নিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে হাজির হন। বাম প্রার্থীরা মিছিল করে মনোনয়ন জমা করতে আসেন। ধারে ভারে শাসক শিবিরের কাছাকাছি না থাকলেও কর্মীদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা চোখে পড়েছে। শিল্পাঞ্চল যখন ভোট উত্তাপে ফুটছে, তখন বিজেপি মনোনয়ন জমা করতে আসে রীতিমতো সাদামাটাভাবে। সব আসনে মনোনয়ন জমা করতে না পারায় কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। মনোনয়ন কেন্দ্রেই খোদ বিজেপি জেলা সভাপতি বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। জেলা সভাপতি দিলীপ দে বলেন, আমরা চারটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারিনি।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল ১০৬টি, বিজেপি ১০১টি, বামফ্রন্ট ৯৫টি, কংগ্রেস ৫৪টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে। অর্থাৎ বিজেপি পাঁচটি আসনে মনোনয়ন দেয়নি। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, চারটি ওয়ার্ডে তারা মনোনয়ন জমা করাতে পারেনি।এদিকে নিজের স্ত্রীর মনোনয়ন জমা করতে এসে মনোনয়ন কেন্দ্রের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে বিতর্ক বাড়ান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। দুর্গাপুরের বিধায়ক হয়েও মনোনয়ন কেন্দ্রের গেটের মুখে নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন বিজেপি নেতা লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তাঁর স঩ঙ্গে ছিলেন আসানসোল উত্তরের পরাজিত প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের ঘিরে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। পুলিস দু’পক্ষকেই সরিয়ে দেয়। লক্ষ্মণবাবু বলেন, পুলিস আমাদের আটকেছে। অথচ মন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ মনোনয়ন কেন্দ্রে বসেছিলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Asansol Municipal Corporation

আরো দেখুন