রাজ্যে করোনা চিকিৎসায় নয়া বিধি লাগু করল রাজ্য সরকার
করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রামক রূপে রীতিমতো ত্রস্ত গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যেও হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে করোনা। করোনার ভয়াল দ্বিতীয় স্রোতের পর এবার তৃতীয় স্রোত নিয়ে উদ্বেগের চিহ্ন দার্জিলিং থেকে দীঘায়। এরই মাঝে রাজ্যে করোনা চিকিৎসায় নয়া বিধি লাগু করল রাজ্য সরকার।
করোনা চিকিৎসায় জারি হওয়া নয়া স্বাস্থ্যবিধিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন একাধিক বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। জানানো হয়েছে, স্টেরয়েড, মলনুপিরাভির ট্যাবলেটের সহায়তায় আর করোনা রোগীর চিকিৎসা করা চলবে না। তার জায়গায় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট কমাতে ইনহেলার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মন্টিয়ার এলসি বা মন্টিকক ট্যাবলেট ব্যবহারে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি সবব করোনা রোগীর ক্ষেত্রে দেওয়া যাবে না। এবার থেকে স্বাস্থ্যভবনের জারি করা এই নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী কোভিড রোগীদের চিকিৎসার নয়া বিধি লাগু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের দেওয়া গাইডলাইনে কোন কোন বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা দেখে নেওয়া যাক।
১) কোভিডের প্রাথমিক উপসর্গ হিসাবে শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের কথাই বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ছয় মিনিট টানা হাঁটার পর কোনও শ্বাসকষ্ট না হলে বুঝে নিতে হবে সব ঠিক আছে।
২) শ্বাসকষ্টের সামান্য সমস্যায় ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩) অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ এর নিচে নামলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪) নয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, সামন্য জ্বর বা সর্দিকাশিতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
৫) ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও মন্টিয়ার এলসি বা মন্টিকক ট্যাবলেট সেবনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
৬) রোগীর অসুস্থতা বাড়লে, স্টেরয়েডের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৭) যে রোগীরা মৃদু উপসর্গযুক্ত বা উপসর্গহীন , তাঁদের বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখার কথা বলা হয়েছে। বাড়িতে ইনহেলার ও প্যারাসিটামল মজুত রাখার কথা বলা হয়েছে।
৮) যদি অসুস্থতার জেরে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকতে দেখা যায়, তাহলে সত্ত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।