রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

করোনা নিয়ে আতঙ্কই সার, ৯৮ শতাংশ বেড খালি রাজ্যে

January 4, 2022 | 2 min read

স্বার্থান্বেষী কিছু মহল করোনা নিয়ে রাজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইলেও, বাস্তব ও পরিসংখ্যান—দুই-ই বলছে উল্টো কথা। গত ছ’দিনে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার। সাধারণ জ্বর-সর্দি-গায়ে ব্যথার মতো উপসর্গ থাকা হাজার হাজার মানুষ সংক্রামিত হচ্ছেন ঠিকই। প্রয়োজনে পরীক্ষা করালে উপসর্গহীনরাও পজিটিভ হচ্ছেন। কিন্তু আতঙ্কই সার। সাধারণ জ্বর-সর্দির মতো বাড়িতে ক’দিন বিশ্রাম নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠছেন সিংহভাগ করোনা রোগী। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো। পরিসংখ্যান বলছে, সক্রিয় আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার বাড়লেও গত ছ’দিনে ভর্তি বৃদ্ধি এক শতাংশেরও কম।

স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন থেকে জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হওয়ার প্রায় ছ’মাস পর, ২৮ ডিসেম্বর থেকে বাংলায় করোনা হু হু করে বাড়তে শুরু করে। ওইদিন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট করোনা শয্যার পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৯৪৭। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৪৫৭ জন। কিন্তু মোট শয্যার মাত্র ১.২৪ শতাংশ শয্যায় রোগী ভর্তি ছিলেন। নতুন অ্যাডমিশন মাত্র ১৯৪। একইভাবে, ২ জানুয়ারির বুলেটিন থেকে জানা যাচ্ছে, মাত্র এই ছ’দিনের ব্যবধানে সক্রিয় আক্রান্ত ৭ হাজার ৪৫৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৩৮ জন। বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার (৯ হাজার ৫৮১ জন)। সেই তুলনায় মোট শয্যার মাত্র ২.১৪ শতাংশ শয্যায় রোগী ভর্তি হয়েছেন। আগের তুলনায় ভর্তি বেড়েছে ১ শতাংশেরও কম—মাত্র ০.৯ শতাংশ! নতুন ভর্তি ৩২৪ জন। অর্থাৎ, আক্রান্ত লাফিয়ে বাড়লেও ৯৮ শতাংশ কোভিড বেড ফাঁকা। তাহলে? আতঙ্কের কারবারিরা কি পরিসংখ্যানকে মান্যতা দেন না? এই প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।

অনেকে বলতে পারেন, মাত্র ছ’দিনে এত যে রোগী বাড়ল, তাঁরা গেলেন কোথায়? রাজ্য সরকারের কোভিড বুলেটিন থেকেই জানা যাচ্ছে, এই বিপুল সংখ্যক অ্যাকটিভ রোগীর সিংহভাগ দিব্যি হোম আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়েছেন। সরকারি তথ্য বলছে, ২৮ ডিসেম্বর রাজ্যে হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৬ হাজার ৬৬৫ জন। ২ জানুয়ারি তা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭০।

এখনকার করোনার চরিত্র নিয়ে কী বলছেন চিকিৎসকরা? বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এবারের করোনা অত্যন্ত সংক্রামক। কিন্তু ভয়ের নয়। হাজার জনে একজনেরও অবস্থা জটিল হচ্ছে কি না সন্দেহ।’ স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘সংক্রমণ প্রচুর বাড়ছে। তুলনায় রোগী ভর্তি বেড়েছে যৎসামান্য। তবে বেডের কোনও অভাব নেই।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Coronavirus, #Covid Bed

আরো দেখুন