১০ দিন থেকে কমে এক সপ্তাহ, হোম আইসোলেশনের নিয়ম বদল কেন্দ্রের
বদল করা হল হোম আইসোলেশনের নিয়মে (Home Isolation Guidelines)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে আর ১০ দিন নয় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহ থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে (Quaratine)। শরীরিক পরিস্থিতি খুব উদ্বেগজনক না হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।
মেয়াদ কমল হোম আইসোলেশনের
মঙ্গলবারই রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ভাইরাসের চরিত্র বদলের ফলে বর্তমানে আক্রান্তরা পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই করোনা নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছেন। ফলে খুব বেশিদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকারও প্রয়োজন পড়ছে না। একই মত ছিল মেয়র ফিরহাদ হাকিমেরও। তিনিও পুরকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, আক্রান্ত হওয়ার পাঁচদিনের মাথায় পুনরায় টেস্ট করাতে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তাঁরা ফের কাজে যোগ দিতে পারেন। চিকিৎসকদের সেই বক্তব্যেই যেন সায় দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গাইডলাউনে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে রোগীকে সাতদিন হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। এমনকী, সাতদিন আইসোলেশনে থাকার পর পরীক্ষা না করিয়েও বাইরে বের হতে পারবেন আক্রান্তরা। তবে হোম আইসোলেশন থেকে বের হওয়ার জন্য রয়েছে শর্ত। পর পর তিনদিন জ্বর না এলে এক সপ্তাহের মাথায় আইসোলেশন থেকে বেরতে পারবেন আক্রান্তরা।
সংস্পর্শে এলে টেস্টের প্রয়োজন নেই
অন্যদিকে, কেন্দ্রের গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, আক্রান্তের কাছাকাছি যারা এসেছেন তাদের টেস্ট করার প্রয়োজন নেই। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেই চলবে। কোনও ক্ষেত্রে হোম আইসোলেশন থেকে হাসপাতালের কথা ভাবতে হবে? এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই নির্দেশিকায় বেশ কিছু উপসর্গের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে টানা তিনদিন একশোর বেশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট থাকে, অক্সিজেন স্যাচুরেশন যদি ৯৪ থেকে কমে যায়, বুকে ব্যথা থাকে, কোনও মানসিক বিভ্রম হয়, অস্বাভাবিক ক্লান্তি থাকে তাহলে হোম আইসোলেশনে থাকা যাবে না। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে অসুখের মেয়াদ কমে আসার প্রবণতা দেখে আইসোলেশন নিয়ে নীতি বদলের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিল কেন্দ্র। কোবিডের এবারের ঢেউয়ে সাধারণ মানুষ তো বটেই, চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসাকর্মীরাও দলে দলে আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিডে। অনেকে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয়বারের জন্যও আক্রান্ত হচ্ছেন। সিংহভাগই অবশ্য উপসর্গহীন। করোনার ন্যূনতম উপসর্গ ছাড়াই দু’ সপ্তাহ ঘরবন্দি হয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছিলেন তারা। স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল। তাই উপসর্গহীন চিকিৎসাকর্মীরা যাতে সপ্তাহখানেকের মাথায় নেগেটিভ হয়ে গিয়ে কাজে যোগ দিতে পারেন, সেই লক্ষ্যে আইসোলেশন পর্বের মেয়াদে কাটছাঁট করা হল বলে অনুমান। আক্রান্তদের পঞ্চম দিনে ফের RT-PCR টেস্ট করে দেখতে বলার কথা বলা হয়েছে গাইডলাইনে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে পুনরায় কাজ করতে পারবেন আক্রান্তরা।