উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা কৃষি নীতি তৈরি করছে রাজ্য সরকার
তল্লাটের সামগ্রিক পরিবেশ ভিন্ন। তাই পাহাড় তথা উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা কৃষি নীতি তৈরি করছে কৃষিদপ্তর। সেখানকার আবহাওয়া, ভৌগোলিক অবস্থা, চাষের জমি বিচার করেই ওই নীতি তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য গবেষকদের পরামর্শ নেবে কৃষিদপ্তর। সেই নীতি তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পেশ করা হবে। তিনি তা চূড়ান্ত করবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে চাষবাসের অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেখানকার ভৌগোলিক পরিবেশে নতুন কী ধরনের চাষ হতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। কৃষক থেকে শুরু করে কৃষিদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের ডুয়ার্স, দার্জিলিং পাহাড়েও তিনি কৃষির অবস্থা নিয়ে খোঁজখবর করেন। পাহাড়ি পরিবেশ চা ছাড়া আর কী ধরনের চাষ সম্ভব, তা নিয়ে পর্যালোচনা হয়।
আলোচনায় বেশ কিছু নতুন চাষের প্রস্তাবও উঠে এসেছে ওই পর্যালোচনা বৈঠকে। যা নিয়ে কৃষিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও নতুন চাষের উপরে জোর দিয়েছেন। তিনি গঙ্গাসাগরের প্রশাসনিক বৈঠকে নোনা স্বর্ণ ধান চাষের উপরে জোর দিতে কৃষিসচিব ওঙ্কার সিং মিনাকে বলেছেন। এই রকম আরও কিছু নতুন ধরনের চাষ করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে কৃষিদপ্তর। এর জন্য গবেষকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন দপ্তরের আধিকারিকরা।
এ ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এবং মিটিং করে বুঝেছি, গোটা রাজ্যের মতো পাহাড় ও ডুয়ার্সের কৃষি নীতি এক হওয়া উচিত নয়। দক্ষিণবঙ্গের সমতলের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ওই অংশের চাষ-আবাদের অনেক তারতম্য রয়েছে। পাহাড়ে ধ্বসের ফলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সব চাষ সেখানে হয়ও না। একই রকম অবস্থা ডুয়ার্সেও। তাই আমরা পাহাড়ের জন্য আলাদা কৃষি নীতি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর জন্য কৃষি গবেষকদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই নীতি তৈরি করা হবে। পরে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি অনুমোদন করেন, তাহলে আলাদা নীতি তৈরি করে বিধানসভায় পেশ করবে কৃষিদপ্তর।