ত্রিপুরায় আবারও পুলিশি বর্বরতা, আটকে দেওয়া হল তৃণমূলের রাজভবন অভিযান
ঘোষণা মতোই বুধবার ত্রিপুরায় (Tripura) রাজভবন অভিযান করল তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেই অভিযান ঘিরেই ধুন্ধুমার বাঁধল আগলরতলায়। অভিযোগ, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই এই কর্মসূচি করে ঘাসফুল শিবির (TMC)। যার জেরে সুবল ভৌমিক-সহ ৩০০ তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রীতিমতো চ্যাংদোলা করে সুবল ভৌমিককে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়।
টিলার শহর ‘ত্রিপুরা’য় সংগঠন বৃদ্ধি করছে তৃণমূল (TMC in Tripura)। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তাঁরা। এবার গেরুয়া শিবিরের ‘অপশাসনে’র বিরুদ্ধে ১৫ দফা দাবিতে রাজভবন অভিযান করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন রাজভবনের সামনে। নেতৃত্বে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুবল ভৌমিকেরা। ওঠে বিজেপিবিরোধী স্লোগান-ও। আর সেই অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত আগরতলার রাজপথ। এদিন অবশ্য ঘাসফুল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেননি ত্রিপুরার রাজ্যপাল।
পুলিশের দাবি, এই কর্মসূচির জন্য আগেভাগে কোনও অনুমতি নেয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। বিনা অনুমতিতে জমায়েত করেছে তারা। এই অভিযোগ জমায়েতে অংশ নেওয়া সকল নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাদ পড়েননি মহিলা কর্মীরাও। রীতিমতো টেনে-হিঁচড়ে তাঁদের পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। আপাতত আগরতলার বিভিন্ন থানায় তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা পুরভোটের ফলপ্রকাশের পরই গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। আগরতলার ওরিয়েন্ট চৌমুহনিতে গণঅবস্থানের কথা ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। ৪৮ ঘণ্টা আগে কর্মসূচির জন্য অনুমতিও চাওয়া হয়। কিন্তু সেই অবস্থানে বাধা দেয় পুলিশ। পশ্চিম ত্রিপুরার এসডিপিও (সদর) রমেশ যাদব তৃণমূলের রাজ্য আহ্বায়ক সুবল ভৌমিককে চিঠিতে জানান, ওই স্থানে গণ অবস্থানের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। কাজের দিনে বেশি সংখ্যায় লোক হলে ট্রাফিক সমস্যা ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হতে পারে বলে চিঠিতে সাফাই দেওয়া হয়েছিল। এবার আটকে দেওয়া হল তৃণমূলের রাজভবন অভিযানও।