প্রচার-জমায়েতে রাশ টেনে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন
করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে চার পুরসভার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই পরিস্থিতিতে যাতে আদালতকে নথি দিয়ে বিষয়টি বোঝানো যায় তার ব্যবস্থা করে ফেলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার জন্য নির্দেশিকা তৈরি করেছে কমিশনের কর্তারা। প্রত্যেক প্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে কোভিড–বিধি মেনে চলার নির্দেশ। প্রচারে জমায়েতে রাশ টেনে জারি করা হয়েছে নতুন নির্দেশিকা। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনী সভায় ৫০০ জনের পরিবর্ত ২০০ জনের জমায়েত হবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে? নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০০ জনের বেশি লোক জমায়েত করা যাবে না কোনও সভাতেই। অডিটোরিয়াম হল ভাড়া করলেও আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ ভর্তি করে বৈঠক করা যাবে। গতকালই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সুরক্ষার জন্য রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানো হবে। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী বাইরে থেকে এলে তাঁরাও সংক্রমিত হতে পারেন। আবার সংক্রমণ ছড়াতেও পারেন।
উল্লেখ্য, জনৈক ব্যক্তি বিমল ভট্টাচার্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন, ২২ জানুয়ারির পুরসভা নির্বাচন বন্ধ করার জন্য। যদি আদালত এই নিয়ে কমিশনের কাছে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চায়, তাহলে এই নির্দেশিকাই হবে তুরুপের তাস। আর তাতে আদালত সন্তোষপ্রকাশ করলে নির্ধারিত দিনেই হবে চার পুরসভার নির্বাচন। আগামী ২২ জানুয়ারি, শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর, বিধাননগর—চার পুরসভার নির্বাচন।
কী কী করা যাবে? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন— কোন রোড–শো বা পদযাত্রা করা যাবে না। প্রতি পুরসভায় নোডাল হেলথ অফিসার নিয়োগ করা হবে। প্রার্থী, কাউন্টিং এজেন্ট, পোলিং অফিসার–সবারই ডবল বা সিঙ্গল ভ্যাকসিন নেওয়া থাকতে হবে। বাড়িতে গিয়ে প্রচার করতে গেলে প্রার্থী–সহ পাঁচজনের বেশি যেতে পারবেন না। প্রচারের সময় সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। আর সাইলেন্স জোন বাড়িয়ে হচ্ছে ৭২ ঘণ্টা।