কোভিড বিধি মেনে গঙ্গাসাগর মেলা করার পক্ষে হাইকোর্টে সওয়াল রাজ্যের
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ইতিমধ্যেই ভিড় জমতে শুরু করেছে বাবুঘাটে। ভিনরাজ্য থেকে আসা সাধু-সন্ন্যাসীদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। দেখা মেলেনি পুলিশি নজরদারির। করোনা আবহে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। এরই মধ্যে আদালতে রাজ্য জানাল, কিছু বিধি মেনে মেলা করতে চায়। জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।
তাঁর সওয়াল –
- ৭১.৮৭ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন’
- ‘৪৯.৫১ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন’
- ‘সাগরদ্বীপের সব বাসিন্দার টিকাকরণ হয়েছে’
- ‘ডায়মন্ডহারবার এলাকায় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে’
- ‘৬-১৫ জানুয়ারি মেলা হবে’
- ‘রাজ্য আশা করছে ৫ লক্ষ মানুষ আসবে’
- ‘৫০ হাজার সাধু আসতে পারেন’
- ‘৩০ হাজার সাধু-সন্ত ইতিমধ্যে এসেছেন’
- ‘২ কিমি এলাকা জুড়ে এই মেলা হচ্ছে’
- ‘১০০০০ পুলিশ থাকবেন যাদের সম্পূর্ন টিকাকরণ হয়েছে’
- ‘৫০০০ স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন যাদের সম্পূর্ন টিকাকরণ হয়েছে’
- ‘মন্দির থেকে ২৫০ মিটারে হাসপাতাল আছে’
- ‘কিছু দূরে আরো একটি হাসপাতাল আছে’
- ‘২৩৫ টি শয্যা নিয়ে সেফ হাউস তৈরি করা হয়েছে’।
- ‘কোভিড হসপিটাল তৈরি আছে’
- ‘মেডিক্যাল স্ক্রিনিং – র ব্যবস্থা আছে’
- ‘থার্মাল গান থাকছে’
- ‘আরটিপিসিআর এবং Rapid অ্যান্টিজেন টেস্ট হবে’
- ‘সবরকম সুবিধাযুক্ত ১০২টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে’
- ‘৭৫ টি বাড়তি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে জেলাশাসকের তরফে’
- ‘ই – স্নান এবং ই – দর্শনের ওপর আমরা জোর দিচ্ছি’
- ‘সাধারণ মানুষকে আমরা যাওয়ার উৎসাহ দিচ্ছি না’
আদালতে জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল
কিন্তু, করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠায়, গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার সেই মামলায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে কলকাতা হাইকোর্ট বলে, রাজ্য সরকার মনে করলে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতেই পারে। একথা বলার পরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনারা কি করতে চান? মেলা বন্ধ করতে চান না কি অন্য কোনও পরিকল্পনা আছে? সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার জানান। বিচারপতি বলেন, স্নানের মাধ্যমে ড্রপলেট ছড়ালে, সংক্রমণ আরও বাড়বে কিনা সেটাও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিবেচনায় রাখতে হবে।