দ্বিতীয় ডোজের নয় মাস পরে নেওয়া যাবে বুস্টার ডোজ, জানাল আইসিএমআর
ICMR এবং ফরিদাবাদের ট্রান্সলেশনাল হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট-এর উদ্যোগে পরিচালিত পাঁচটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ডোজগুলির মধ্যে ব্যবধান ৯ মাসের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৯ মাসের মাথায় এই বুস্টার ডোজের মানে হল এই, যে চলতি বছরের ১০ এপ্রিলের মধ্যে যাঁরা প্রাথমিক টিকাদানের সময়সূচীতে দ্বিতীয় ডোজটি পেয়েছিলেন তাঁরাই সতর্কতামূলক ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ডোজগুলি গ্রহণ করবেন। অর্থাৎ, প্রধানত স্বাস্থ্যসেবা এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীরাই প্রথম এই বুস্টার ডোজ পাবেন।
সর্বপ্রথমে এঁদেরই টিকা দেওয়া শুরু হয়ছিল গত ১৬ জানুয়ারি থেকে। ১ মার্চ থেকে দেশের ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং ৪৫-এর বেশি বয়সী যাঁদের কোমর্বিডিটি ছিল তাঁদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ১ মে পর্যন্ত দেশের ১.১১ কোটি জনগণ টিকার দুটি ডোজ গ্রহণ করেছেন।
কো-উইন প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে কারা সতর্কতামূলক ডোজের জন্য যোগ্য হবেন। ডোজের কোনও মিক্সিং নয়। যে যেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন, বুস্টার বা প্রিকশন ডোজ হিসেবে সেই ভ্যাকসিনের ডোজ নিতে হবে। স্পষ্ট জানালেন ICMR-এর DG বলরাম ভার্গব।
১০ জানুয়ারি থেকে এই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে। বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজের সঙ্গে ব্যবধান থাকতে হবে ৯ মাস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই ট্রেন্ড এই মুহূর্তে চালু করা বিপজ্জনক হতে পারে। বুধবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তি করোনাভাইরাসের যে টিকার ডোজ নিয়েছেন, ‘প্রিকশন ডোজ’-এর ক্ষেত্রেও সেই টিকা দেওয়া হবে।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ভি কে পল বলেন, ‘আগে যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকারই প্রিকশন ডোজ প্রদান করা হবে। যাঁরা কোভ্যাক্সিন পেয়েছিলেন, তাঁরা কোভ্যাক্সিন পাবেন। যাঁরা প্রথম দু’বার কোভিশিল্ড পেয়েছেন, তাঁরা এবারও কোভিশিল্ড পাবেন।’