করোনা আবহে আইপিএল ২০২২ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড
প্রায় দু’বছর অতিক্রান্ত। বিশ্বজুড়ে দাপট দেখিয়ে চলেছে নোভেল করোনা ভাইরাস। নতুন বছরেও নতুন করে খেলার দুনিয়ায় থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস এবং তার নয়া স্ট্রেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য় স্থগিত হয়েছে রনজি ট্রফি-সহ সব ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। স্থগিত আই লিগও। আর এবার আসন্ন আইপিএল নিয়েও বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)।
গত বছর দেশের মাটিতে স্বাভাবিক ছন্দেই শুরু হয়েছিল আইপিএল। কিন্তু ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তেই তা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ভাগ স্থানান্তরিত হয়ে পৌঁছে যায় দুবাইয়ে। বছরের শেষদিকে অক্টোবরে সেখানেই বাকি ম্যাচগুলি আয়োজিত হয়। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ড মনে প্রাণে টুর্নামেন্টের ১৫ তম সংস্করণ দেশের মাঠেই করতে চায়। কিন্তু বাদ সাধছে ভারতের বর্তমান কোভিড গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন দেশে সংক্রমিত ১ লক্ষেরও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, জানুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছতে পারে ৪-৫ লাখে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের সুরক্ষা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না বিসিসিআই। তাই শোনা যাচ্ছে, কেবলমাত্র একটি শহরেই বসবে আইপিএলের আসর। সেক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হতে পারে মুম্বইকে।
চলতি বছরে প্রথমবার ১০ দলের হবে আইপিএল (IPL 2022)। নতুন দল হিসেবে যোগ দেবে লখনউ ও আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি। এমন পরিস্থিতিতে দুটি পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় বোর্ডের। প্রথমত, হোম-অ্যাওয়ে হিসেবে ম্যাচ আয়োজন। আর দ্বিতীয় করোনার দাপট বজায় থাকলে মুম্বইয়ের তিনটি স্টেডিয়াম- ওয়াংখেড়ে, CCI এবং ডিওয়াই পাতিলে হবে ম্যাচ। ২০২০ সালের সম্পূর্ণ এবং ২০২১-এর অর্ধেক পর্বের আইপিএল হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE)। আর এবারও একান্তই ঘরের মাটিতে আইপিএল আয়োজন সম্ভব না হলে, শেষমেশ মরুদেশেই চলে যেতে পারে টুর্নামেন্ট।
শুধু তাই নয়, ২ এপ্রিলের পরিবর্তে আইপিএল এগিয়ে আসতে পারে ২৫ মার্চ। ডাবল-হেডার কমানোর কারণেই এগিয়ে আনা হতে পারে টুর্নামেন্ট। তবে পুরোটাই নির্ভর করবে সেই সময়ের করোনা পরিস্থিতির উপর। শোনা যাচ্ছে অতিমারী আবহে বদলে যেতে পারে এবারের নিলামের ভেন্যুও।