‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস’ অনুষ্ঠানকে ঘিরে তৃণমূল কর্মী ও শুভেন্দুর চাপানউতোরে তপ্ত নন্দীগ্রাম
নন্দীগ্রামে (Nandigram) শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসে (Shahid Shtaddhanjali Dibas) স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার আগে উত্তেজনা। বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের কটূক্তি। আজ সকালে ভাঙাবেড়ার শহিদ মিনারে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সভায় আসার পথে, ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে তৃণমূলের অনুষ্ঠানস্থল থেকে বিজেপি নেতাকে কটূক্তি করেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। শুভেন্দু যখন গাড়িতে করে অনুষ্ঠান স্থলের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তৃণমূল গতবারও নোংরামো করে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করে, লাভ হয়নি। এ ব্যাপারে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
উল্লেখ্য, এদিন নন্দীগ্রামে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস উপলক্ষে তৃণমূল ও বিজেপির পৃথক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। দুটি কর্মসূচিতেই উধাও দূরত্ব বিধি। অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। করোনা আবহে দুটি অনুষ্ঠান ঘিরেই উঠল বিধিভঙ্গের অভিযোগ। ২০০৭-এর ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ মাইতি, শেখ সেলিম ও ভরত মণ্ডলের। সেই থেকে আজকের দিনটি ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, নন্দীগ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির তরফে এই দিনটি আলাদাভাবে পালন করা হয়। এদিন ভাঙাবেড়া শহিদ মিনারে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তার থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে তৃণমূলের তরফে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, একটা সময়ে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের অন্যতম প্রধান সৈনিক ছিলেন শুভেন্দু। কিন্ত গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তার আগে মন্ত্রিপদ ও বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি তৃণমূলকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেছিলেন। ভোটের লড়াইয়ে তিনি নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদ্মশিবিরের প্রার্থী হয়েছিলেন। বর্তমানে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা একদা তৃণমূল মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য।