আর বাধ্যতামূলক নয় আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা উপসর্গহীন ব্যক্তির কোভিড টেস্ট
কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা উপসর্গহীন ব্যক্তিকে আর আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে হবে না। এবার থেকে তা আর বাধ্যতামূলক নয়। তবে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার কথা মাথায় রেখে উপসর্গহীন ওই ব্যক্তিতে এক সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর। জরুরি ভিত্তিতেই সরকার আইসোলেশনের সময় ১০ থেকে কমিয়ে সাতদিন করে দেওয়ার পাশাপাশি কোভিড টেস্টের নিয়মেও এই বদল এনেছে।
এদিকে, রাজ্যে রাজ্যে দ্রুত সেরে উঠছেন ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কোভিড রোগীরা। মণিপুর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, পুদুচেরি, জম্মু-কাশ্মীর, চণ্ডীগড় এবং মধ্যপ্রদেশে যতজন করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের শিকার হয়েছিলেন, প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গোয়ায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজন আক্রান্তের মধ্যে চারজনই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন বলেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। মহামারী করোনার ভাইরাস ‘সার্স কোভ-টু’র এই সাংঘাতিক সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টে এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৩০জন। তার মধ্যে সেরে গিয়েছেন ৯৯৫ জন।
তবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে দ্রুত চিনে নিয়ে আগেভাগে চিকিৎসা শুরু করে দেওয়ার উদ্যোগ বাড়াচ্ছে কেন্দ্র। আইসিএমআরে’র পরামর্শ মতো টাটা মেডিকেল অ্যান্ড ডায়গনস্টিকস ‘ওমিসিওর’ নামে যে বিশেষ আরটিপিসিআর কিট তৈরি করেছে, আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে তা বাজারে মিলবে। দাম ২৫০ টাকা। নাগরিকদের থেকে নমুনা সংগ্রহের পর বিশেষ এই কিটের মাধ্যমে চার ঘণ্টার মধ্যেই একইসঙ্গে দুটি জিনিস জানা যাবে। এক, কোভিড পজিটিভ কি না। আর পজিটিভ হলে তা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কি না? কিট ব্যবহারে কেন্দ্রের ছাড়পত্র পেয়ে এখন দিনে দু’লক্ষ টেস্ট কিট সরবরাহ করতে পারবে টাটা এমডি। তবে শীঘ্রই তা ৫ লক্ষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। ওমিসিওর নামে এই আরটিপিসিআর কিট এসে যাওয়ার ফলে এখন আর রাজ্যকে কোভিড পজিটিভের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য বিশেষ ল্যাবরেটরিতে পাঠাতে হবে না।
এইমস, কোভিড টাস্ক ফোর্স, আইসিএমআরের যৌথ সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়েছে, বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় কোনওভাবেই রেমডিসিভির ব্যবহার করবেন না, নেবেন না নেবুলাইজার। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না অক্সিজেন সিলিন্ডারও। কোভিড বিধি মেনে চলার পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইন পর্বে আক্রান্তদের পরিমিত জল, স্যুপ, ফলের রস পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, স্বাদ, গন্ধ চলে যাওয়ার মতো উপসর্গ তো বটেই, জ্বর, কাশি, কপাল কনকন, গলা ব্যথা, গা হাত পা ম্যাজম্যাজ এবং শ্বাসকষ্ট হলেই কোভিড টেস্ট করার নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। কারণ, কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টাতে এক লাফে সংক্রমণ ৫৮ হাজার থেকে হয়েছে ৯০ হাজার ৯২৮ জন আক্রান্ত।